Voice of 𝗗𝗼𝗰𝘁𝗼𝗿𝘀 ᴹᵃⁱⁿ
January 30, 2025 at 05:42 PM
এক দিনে তিন খবর!
*_`খবর এক:`_*
পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিটিউক্যালের পর বর্তমানে যে ওষুধ কোম্পানি (ইম্পেক্স ফার্মা) রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন সরবরাহ করছিল, তার উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। পরিশোধন ও সংরক্ষণ এর নানা ক্ষেত্রে গুণমান যথাযথ বজায় রাখা হচ্ছে না বলে তাদের স্যালাইন কে আর ব্যবহার করা হবে না বলে নোটিশ স্বাস্থ্য দপ্তরের।
অর্থাৎ, এই যে নিম্ন মানের স্যালাইন নিয়ে যে বহুদিনের অভিযোগ, অভিযোগ সত্ত্বেও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির (যারা এমনকি অন্য রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ হিসাবে ব্ল্যাকলিস্টেড) স্যালাইন ব্যবহার করা, তার পিছনে ব্যাপকতর দুর্নীতিচক্র সবটাই ধীরে ধীরে জনসমক্ষে আসছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ও আরও চারজন মায়ের অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি হওয়ার পর এই কারণ গুলিকে ঢাকতে জুনিয়ার ডাক্তারদেরকে অনৈতিক ভাবে দোষী সাজিয়ে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আবার একই সাথে সম্ভাব্য জনরোষ এর আশঙ্কায় সেই কোম্পানির স্যালাইন বন্ধ করে অন্য আরেক কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হল, এখন সেই নতুন কোম্পানির গুণগত মান নিয়েও নতুন প্রশ্ন এবং তার উৎপাদনেও স্থগিতাদেশ। তাহলে সাধারণ মানুষ, যারা সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল তারা আদৌ ওষুধ পাবেন কি? যদি ওষুধ মেলেও তার গুণগত মান কি এমন প্রশ্নদীর্ণ হয়েই থাকবে? এই মানুষগুলির স্বাস্থ্যের অধিকারের দাবিতেই তো ছিলো আমাদের আন্দোলন।
খবর কাগজের প্রথমপাতা জোড়া _‘স্বাস্থ্য কিংবা শিক্ষা / বাংলা মানেই ভরসা’_ গোছের অন্তঃসারশূন্য ঢাকপেটানোর বিপ্রতীপে প্রতিটা সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সবার জন্য যথার্থ মানের চিকিৎসা পরিষেবার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।
*_`খবর দুই:`_*
মেডিকেল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীকে অবৈধ বলে তাকে কালকের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট! যদি তিনি তা না করেন, তাহলে তাকে অপসারিত করা হবে!
WBMC, পশ্চিমবঙ্গের মেডিকেল কাউন্সিল যার বহু দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম সরকারি ও বেসরকারি পরিসরে চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতির যথাযথ প্রয়োগ। আর সেই WBMC এর অভ্যন্তরেই দুর্নীতির ভয়ালচক্র ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ের রাজনীতি ও দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বানিয়ে রেখেছে কলেজে কলেজে থ্রেট কালচারের কিংপিনেরা। যার শোধনের দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়েছি শুরু থেকেই। আজ হাইকোর্টের এই রায় সেই দাবিকেই আরো জোরালো করল!
আশ্চর্যের ব্যাপার হল, নিজে অনৈতিক অবৈধ ভাবে ক্ষমতাভোগ করা এই রেজিস্ট্রার ই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য সরকারের অনুমতি নিয়েছে কিনা তার খতিয়ান চেয়ে চিঠি পাঠান আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে! ভাবা যায়? কি নিদারুণ দুঃসাহস ও কতটা প্রভাবশালী হাত পিছনে থাকলে নিজে বেআইনি ভাবে একটা অবৈধ পদে থেকেও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিহিংসার রাজনীতি করা যায়!
*_`খবর তিন:`_*
আপনারা সবাই জানেন, আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দূর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে থাকা সন্দীপ ঘোষ ও তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্রনেতা আশীষ পান্ডের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট পেশ করার জন্য যে অনুমোদন রাজ্য সরকার কোনোভাবেই দিচ্ছিল না, লাগাতার আন্দোলন এর চাপে তা দিতে বাধ্য হয় দুদিন আগে। অথচ সেই অনুমোদন বা NOC পাওয়ার কথা স্পেশাল কোর্টে সিবিআই জানায়ইনি এখনও, কেন জানায়নি তার কারণ দর্শাতে বিচারক শো-কজ করেছেন সিবিআই এর তদন্তকারী অফিসার কে। আন্দোলনের চাপে পরে রাজ্য সরকার চার্জশিট গঠনে অনুমোদন দিলেও, সিবিআই সে কথা কোর্টে জানালো না কেন সে দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। ইতিমধ্যে, অভয়ার খুন ধর্ষণের মামলায় সিবিআই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট না দিতে পারায় জামিন পেয়ে গেছে সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল, খুন ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ লোপাট এর মত ভয়ানক অভিযোগে তিনমাস সিবিআই হেফাজতে থাকার পরেও। ফলত আমাদের তীক্ষ্ণ নজর থাকবে আর্থিক দূর্নীতির মামলাতেও যাতে প্রভাবশালী যোগের কারণে কোনোরকম সমঝোতা না হয়!
Facebook link:https://www.facebook.com/share/14jHDDLgXs/
Instagram link: https://www.instagram.com/p/DFdXVaXymAm/?img_index=3&igsh=dXlxMnNhYXU1eHFm
👍
❤️
🙏
✊
🆗
🔥
🙇♂️
🤮
41