
Mufti Rasheed Ahmad Qubbadee Nadwi
January 31, 2025 at 04:06 PM
ইস রা'ইল-হা মাস যু'দ্ধে, বিজয়ী কে?
ই'স রা'ই'ল-হা মা'সের মধ্যে পনের মাসের যুদ্ধ; বরং, ইতিহাসের দীর্ঘতম ই'হু' দি'বাদী আগ্রাসন অবশেষে 19 জানুয়ারী, 2025-এ যু'দ্ধবিরতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেষ হবে। যু'দ্ধবিরতি চুক্তি নিয়মিত এই গ্যারান্টি দেয় যে যু'দ্ধ পুনরায় শুরু হবে না; শেষ ই'হু' দি'বাদী ব'ন্দীর মুক্তির সাথে সাথে ই'হু' দি'বাদী সৈন্যরাও ফিলাডেলফিয়ার একটি অংশ থেকে প্রত্যাহার হবে। এই দীর্ঘতম যু'দ্ধে কে বিজয়ী হয়েছে, ইস রাইল কি তার লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে? হা মাস কি সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে যার জন্য তারা ৭ অক্টোবর হা মলা করেছিল? নীচে আমরা তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য উভয়ের আলোকে পর্যালোচনা করবো।
এই যু'দ্ধে, প্রচুর সংখ্যক ফি'লি স্তিনি শহী'দ হয়েছে, সরকারী তথ্য অনুযায়ী প্রায় 50/হাজার; কিন্তু বাস্তবে ফি'লি স্তিনি শহী'দের সংখ্যা এক লাখের বেশি। এই সমগ্র যু'দ্ধে ফি'লি স্তিনের জনগণ অভূতপূর্ব ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস নিয়ে তাদের জীবন ও তাদের পরিবারকে উৎসর্গ করেছে। সমস্ত ই'হু দিবাদী আগ্রা'সন, ব'র্ব'রতা ও গণ'হ'ত্যার মুখে আলেকজান্ডারের (সেকান্দার ) দেওয়ালের মতো অটল হয়ে দাঁড়িয়েছিল!!! ফি'লি স্তিনিদের সংকল্প ছিল পাথরের মতো, আবু ওবা'ইদার কথায়, ফি'লি স্তিনিরা বন্ধু এবং শ'ত্রু উভয়কেই অবাক করেছে। এটি একটি খুব স্পষ্ট এবং চিরো সত্য যে স্বা'ধীনতা একটি মূল্যে আসে। স্বা'ধীনতার জন্য সবচেয়ে কঠিন ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, পৃথিবীর কোনো অঞ্চলে অ'ত্যা'চারী দ'খ'লদা'ররা প্রতিরোধ ছাড়া স্বা'ধীনতা দেয়নি; বরং প্রবল প্রতিরোধের পরই তা অর্জিত হয়েছে। একদিকে ই'স রাইলি ব'র্ব'রতা ও আ'গ্রা'সনে গা'জা ধ্বং'স হয়ে গেছে, গা'জা ধ্বং'সস্তূ'পের নিচে চাপা পড়ে আছে, সেখানে ই'স রাইলও ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়া'বহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জান, আর্থিক, অর্থনৈতিক; এমনকি মা'নসিক ক্ষতিও হয়েছে। গা'জায় তাদের সাথে যা ঘটেছে এবং সব রকমের ব'র্ব'রতার পরেও ই'স রাই'লিরা যে ব্যর্থতা অর্জন করেছে ফলে তারা গা'জায় স্থল অভিযানের কথা ভাবতেও পারে না। ই'স রাইলের অনেক জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি এখনও রহস্যে আচ্ছন্ন, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবকিছু প্রকাশ পাবে, সত্য বেরিয়ে আসবে।
*তূ'ফা'নুল আ'ক'সার উদ্দেশ্য *
7 অক্টোবর, 2023-এ, হা'মাস ই'স রাইলের উপর একটি সংগঠিত আ'ক্র'মণ শুরু করে এবং 250 ই'স রাইলিকে গ্রে'প্তা'র করে।
হা'মাস তার প্রকাশিত এক পুস্তিকায় লিখেছে যে এর উদ্দেশ্য হল ই'হু দি'বাদী আ'গ্রা'সন, গা'জা অব'রোধ, মানবাধিকার লঙ্ঘ'নের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ই'স রাইলে আক্রমণ করে ই'স রাই'লিদের ব'ন্দী করে। যেন তার বিনিময়ে ই'হু দিবাদী কা'রা'গার থেকে তাদের ব'ন্দী'দের মুক্তি করতে পারে। প্রায় একই কথা হা'মা'সের কেন্দ্রীয় নেতা ই'স'মা'ইল হা'নি'য়াহ, সা'লেহ আল-আ'রু'রি, ডক্টর খ'লি'ল আল-হি'য়া প্রমুখ তাদের বিবৃতিতে বলেছেন; কিন্তু সংক্ষিপ্তের উদ্দেশ্যে সেগুলো উপেক্ষা করলাম।
*ই'স রাইলের লক্ষ্য*
7 অক্টোবরের হা'ম'লার পর, ই'স'রায়েলি সে'না'বাহিনী প্রথমে উপর থেকে গা'জায় নি'র্বি'চারে বো'মা'বর্ষণ করে, তারপর 27 অক্টোবর একটি উচ্চ দাবি নিয়ে গা'জায় স্থল অ'ভি'যান শুরু করে। ই'স রাইলি সে'না'বাহিনী গা'জায় স্থল অভিযানের জন্য নিম্নলিখিত লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে:
1. সা'মরিক শক্তি দ্বারা ই'স রাইলি ব'ন্দীদের মুক্তি করা।
2. গা'জাকে ই'স রায়েলি সা'মরিক ক্যাম্প বানিয়ে সেখানকার প্রতিটি গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।
3. গা'জায় প্রতিরোধ শেষ করা, বিশেষ করে হা'মা'সের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ই'স'রাইলি সে'না'বাহিনী উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, ই'স রাইল কি তা অর্জন করতে পেরেছে? ই'স রাইলি সে'না'বাহিনী কি এখনও তার একই বর্ণনায় দাঁড়িয়ে আছে? এতে ইস রাইলি সে'নাবাহিনী কি কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে? ইস রাইলি সে'না'বাহিনী কি ভবিষ্যতে এসব লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে? নিম্নে আমরা তা পর্যালোচনা করবো।
*প্রথম ব্যর্থতা*
ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী উচ্চ দাবী এবং এই বর্ণনা দিয়ে গা'জায় প্রবেশ করেছিল যে আমরা সা'ম'রিক শক্তির মাধ্যমে ব'ন্দী'দের মুক্তি করবো, হা'মাসের সাথে কোন চুক্তি করাবো না, কিন্তু গা'জায় ইস রায়েলি সে'নাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতির হিসাব গুনতে হয়েছে, যে ইস রাইল হা'মা'সকে একটি স'ন্ত্রা'সী সংগঠন হিসাবে আখ্যা দিয়ে আসছিল এবং তাদের লক্ষ্য ছিল সা'ম'রিক শ'ক্তির মাধ্যমে ব'ন্দী দের মুক্ত করা, শেষ পর্যন্ত হা'মাসের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে হচ্ছে। 24 নভেম্বর 2023-এ হামাস এবং ইস রায়েলের মধ্যে একটি অস্থায়ী যু'দ্ধ'বিরতি চুক্তি হয় এবং সা'মরিক শক্তি দ্বারা ব'ন্দী'দের মুক্তি করার দাবি করা ইস রায়েলি সে'না'বাহিনীকে ফি'লি'স্তিনি জিম্মি এবং অস্থায়ী যু'দ্ধ'বিরতির বিনিময়ে ব'ন্দীদের মুক্ত করাতে হচ্ছে। এটি ছিল ইস রায়েলের প্রথম ব্যর্থতা এবং স্থল অ'ভিযান শুরু করার সময় ইস রাইল যে বর্ণনা দিয়েছিল তা থেকে নিজেই সরে আসে।
*দ্বিতীয় ব্যর্থতা*
ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী স্বীকার করেছিল যে সা'মরিক শক্তি দ্বারা সমস্ত বন্দিকে জীবিত ফিরিয়ে আনা অসম্ভব, এবং ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী পুরো যু'দ্ধে মাত্র আট-নয় জন ব'ন্দিকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল; যখন 30 জনেরও বেশি ব'ন্দী ইস রায়েলি প্রচেষ্টা চলাকালে নিহত হয়েছিল। এরপর ইস রায়েলি সামরিক বাহিনী এই পদেক্ষেপ গ্রহণ করে যে "প্রতি'রোধের উপর সা'মরিক চাপ দেওয়া" এর অর্থ গা'জায় এত বেশি বো'মা'বর্ষণ করা এবং ব'র্ব'রতার প্রদর্শন করা যে প্র'তি'রোধ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইস রায়েলি শর্তে ব'ন্দীদের মুক্তি দিতে ইচ্ছুক হবে, ই'স'মাইল হা'নি'য়ার পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে, রাফাহ, নুসিরাত, মাওয়াসি এবং শেষ দিন গুলোতে স্কুলে ভ'য়া'নক বো'মা হা'ম'লা এবং সেইসাথে ই'স'মাইল হা'নি'য়ার শা'হাদাত এই নীতির অংশ ছিল এবং এটি ইস রায়েলের "সা'মরিক চাপ" ছিল। ইস রায়েলি সে'না'বাহিনীর প্রথম ব্যর্থতা হলো তারা নিজেদের বয়ান পরিবর্তন করে,
দ্বিতীয় ব্যর্থতা হল সা'মরিক চাপের যে নীতি গৃহীত হয়েছিল তা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং সমস্ত আ'গ্রাসন ও ব'র্ব'রতা সত্ত্বেও ফি'লি'স্তিনি জনগণ ও প্রতি'রোধের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি।
তৃতীয় ব্যর্থতা*
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রতিরোধ নির্মূল করা, কিন্তু প্রতিরোধ আপন জাগায় রয়ে গেছে, কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। বরং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকারও করেছে প্রতিরোধ নির্মূল করা খুবই কঠিন, কিন্তু এভাবে ৪ বছর যু'দ্ধ চলতে থাকলে প্রতি'রোধ তো ভেঙে যাবে, কিন্তু তারপরও পুরোপুরি নির্মূল হবে না এবং কিছু সময় পাওয়ার পর সে আবার উঠে দাঁড়াবে। এটি ইস রায়েলি সে'নাবাহিনীর সবচেয়ে খারাপ ব্যর্থতা যে 15/মাসের দীর্ঘতম অ'পা'রে'শনের পরেও প্রতিরোধকে নির্মূল করা তো দূরের কথা প্রতিরোধের কোনও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারেনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে এই শব্দগুলি প্রতি'রোধ সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছে: "শুধু সা'মরিক শক্তি দিয়ে হা'মা'সকে পরাজিত করা যাবে না। আমরা অনুমান করি যে হা'মা'সের যে পরিমাণ খতি হয়েছে তার চেয়ে দ্রুত তারা নতুন সৈ'ন্য নিয়োগ করেছে।"
*৪র্থ ব্যর্থতা*
ইস রায়েলি সা'মরিক বা'হিনীর অন্যতম লক্ষ্য ছিল গা'জায় হা'মা'সের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নির্মূল করা; কিন্তু যু'দ্ধ শেষের দিকে, ইস রায়েলি সা'মরিক বাহিনী হা'মা'সের কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং গা'জায় হা'মা'সের প্রধান ই'য়া'হিয়া সি'ন'ওয়ার এবং কমা'ন্ডার আবু খা'লিদ মুহাম্মদ আল-জা'ইফের কোনো তথ্যও ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী ও ইস রায়েলি গো'য়ে'ন্দারা পায়নি। অবশ্যই গা'জায় হা'মা'সের প্রধান ই'য়া'হিয়া সিন'ওয়ার শহীদদের কাফেলায় যোগ দিয়েছেন; কিন্তু বাস্তবতা হলো ই'স রাইল ও তাদের গো'য়ে'ন্দাদের এতে কোনো সফলতা নেই; বরং ই'য়া'হিয়া সিনওয়ার নিজেই মাঠের সামনের সারিতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিরোধ করে শাহাদাত বরণ করেন। স্থল যু'দ্ধের দ্বিতীয় পর্বে, ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী দাবি করেছিল যে ই'য়া'হিয়া সি'ন'ওয়ার কা'সামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মু'জা'হিদিনদের সাথে খান ই'উ'নুসের সু'ড়'ঙ্গে ছিলেন; কিন্তু খান ই'উ'নুসে অ'নু'সন্ধান সত্ত্বেও ই'য়া'হিয়া সি'ন'ওয়ারের কোনো হদিস পায়নি ইস রায়েলি সেনাবাহিনী। অসহায় ইস রায়েলি সেনাবাহিনী যখন গাজায় হা'মা'সের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা বৈরুতে সালেহ আল-আ'রুরি এবং তে'হ'রানে ই'স'মাইল হা'নি'য়াহকে লক্ষ্য করে; অথচ ইস রায়েলি সে'নাবাহিনীর লক্ষ্য ছিল হা'মা'সের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বকে টার্গেট করা। এটি ইস রায়েলি সে'নাবাহিনীর সবচেয়ে খারাপ ব্যর্থতা যে 15 মাস অ'ভিযান করা সত্ত্বেও ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী গা'জায় হা'মা'সের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
*পঞ্চম ব্যর্থতা*
ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল গা'জাকে ইস রায়েলি সামরিক ক্যাম্প বানাবে; কিন্তু ইস রায়েলি সে'নাবাহিনীর ব্যর্থতার পর এই লক্ষ্য থেকে সরে আসতে হয় ইস রাইলকে। তাই ইস রায়েলি সে'নাবাহিনী গা'জাকে সামরিক ক্যাম্প না করে শুধু (মিশরকে গা'জার সাথে সংযোগকারী মহাসড়ক) ফিলাডেলফিয়ায় তাদের সে'নাবাহিনী রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক চুক্তিতে ইস রায়েলকে এই পদক্ষেপ থেকেও পিছিয়ে যেতে হয়েছে। এখন তিন দফা যুদ্ধবিরতির পর গাজা থেকে ইস রায়েলি সে'নাবাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
*সাম্প্রতিক চুক্তিতে ইস রাইল কি তার পূর্বের পদক্ষেপে অটল আছে?*
হা'মা'স ও ইস রায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক চুক্তি। এটি অধ্যয়ন করার পরে, এর শর্তাবলীর দিকে তাকালে, এই কথা স্পষ্ট যে এই চুক্তিটি হা'মা'সের শর্তগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা হা'মা'স শুরু থেকেই প্রস্তাব করেছিল। হা'মা'স সব যু'দ্ধবিরতি আলোচনায় জোর দিয়েছে যে স্থায়ী যু'দ্ধবিরতি এবং গা'জা থেকে ইস রায়েলি সে'নাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে না। সাম্প্রতিক চুক্তিতে হা'মা'সের সব শর্ত অনুমোদিত হয়েছে। যখন ইস রায়েল অস্থায়ী যু'দ্ধ'বিরতির জন্য জোর দিয়েছিল, ইস রায়েল গাজা থেকে সরে যেতে রাজি ছিল না; বরং ফি'লি'স্তিনি ব'ন্দীদের যাতে মুক্তি না দেওয়া যায় সেজন্য ইস রায়েল সা'মরিক শক্তির মাধ্যমে তাদের ব'ন্দী'দের মুক্ত করতে চেয়েছিল; কিন্তু ইস রায়েলকে তার পুরো পদেক্ষেপ পরিবর্তন করতে হয়েছিল এবং হা'মা'সের শর্তে চুক্তি করতে হয়েছে। ইস রায়েলের কারাগারে ব'ন্দী হাজার হাজার ফি'লি'স্তিনিকে মুক্ত করানোর লক্ষ্যে হা'মা'স সফল হবে। হা'মা'স এবং ইস রায়েলের মধ্যে চুক্তির অধীনে এটি দ্বিতীয়বারের মতো বন্দী বিনিময় হবে। এর আগে, 2011 সালে, পাঁচ বছরের দীর্ঘতম সময়ের পর এক হাজারেরও বেশি ব'ন্দীর বিনিময়ে ইস রায়েল একজন ব'ন্দিকে মুক্তি দেয়। পূর্বে থেকেই হা'মা'সের কাছে চারজন ব'ন্দী ছিল, যাদের মধ্যে দু'জন 2014 সাল থেকে হা'মা'সের হেফাজতে রয়েছে; কিন্তু ইস রায়েল সবসময় কোনো চুক্তির মাধ্যমে বিনিময়ের অধীনে মুক্ত করাতে অস্বীকার করেছে। তূ'ফা'নুল আ'ক'সায় বিপুল সংখ্যক ব'ন্দী বানানোর উদ্দেশ্যও ছিল ইস রাইল যাতে বন্দী বিনিময় করতে বাধ্য হয়।
এই যু'দ্ধ'বিরতি হা'মা'সের; বরং ইসলামী বিশ্বের একটি মহান বিজয়। একদিকে মুসলমানদের একটি ক্ষুদ্র দল যারা 17/ বছর ধরে অবরুদ্ধ ছিল, যাদেরকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে খোলা কারাগারে রাখা হয়েছিল, অন্যদিকে পুরো দুনিয়ার সমস্ত অ'ত্যা'চারী কা'ফে'রেরা অত্যাধুনিক অ'স্ত্র ও সম্পদ নিয়ে ইস রায়েলের সাথে দাঁড়িয়েছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও ইস'রাইলকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে এবং হা'মা'সের শর্তে চুক্তি করতে হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা ইহু দিবাদের ওপর ইসলামের বিজয়, এটা মিথ্যার ওপর সত্যের বিজয়। এটা ইসলামের বিজয়।