বাংলাদেশকে ইসলামীকরণ করা এই দেশের সকল মুসলমানের ইসলামী শাসনকে সমর্থন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং মুসলিম হিসেবে সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব এই দেশকে ইসলামী মূল্যবোধ ও আইনের ভিত্তিতে পরিচালনা করা। এটা শুধু জামাত বা চরমোনাই কর্তব্য নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা যেকোনো দলকে অবশ্যই ইসলামী আইন ও আইনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রকে ইসলামী ধর্মতন্ত্রে রূপান্তরিত করতে, তিনটি ক্ষেত্রে ইসলামীকরণ প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে: ক) সামাজিক কাঠামোগত, যেখানে ইসলামীভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলির কাজ রয়েছে খ) সাংস্কৃতিক, যেখানে শিল্প, বিনোদন, সাহিত্য এবং দর্শনের ইসলামিকভাবে বৈধ বিষয়বস্তু কাজ করবে গ) ব্যক্তিগত চেতনা, যেখানে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ধর্মীয় মোডে চিন্তা করবে এবং বিশ্বাসীরা জ্ঞানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবে। এই দেশের কোন দল এগুলি অর্জন করতে পারে? জামায়াত একটি উদারপন্থী দলে পরিণত হয়েছে, এবং ইসলামী আন্দোলন সেই ক্ষমতা প্রদর্শন করে না। এগুলো অর্জনের জন্য আমাদের প্রথমে মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে হবে। কওমি ও আলিয়ার বর্তমান মাদ্রাসা ব্যবস্থা ভেঙে বন্ধ করে দিতে হবে। একটি নতুন ঐক্যবদ্ধ মাদ্রাসা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ১৬ বছর বয়স থেকে পাঠ্যক্রমের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে: আরবি ও ইংরেজি ভাষা, তুলনামূলক ইসলামী ধর্মতত্ত্ব যাতে শিয়া ও সুন্নি উভয় ধর্মতত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত থাকে, ইসলামী আইনশাস্ত্র ও আইন, তাফসীর ও হাদিসের বিজ্ঞান, পাশ্চাত্য ও ইসলামী দর্শন, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং ধ্রুপদী অ্যারিস্টটলের যুক্তিবিদ্যা, পরিচায়ক সামাজিক বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, "কম্পিউটেশনাল" এবং অ্যালগরিদমিক চিন্তাভাবনা, ইসলামী ইতিহাস এবং উপমহাদেশের ইতিহাস, নতুনভাবে পরিকল্পিত কোর্স যেমন একজন ইসলামী আইনজ্ঞের মতো চিন্তাভাবনা, সামাজিক বিজ্ঞানে সমস্যা সমাধান এবং পরিসংখ্যানগত চিন্তাভাবনা। চার বছর অধ্যয়ন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, ২০ বছর বয়সে, বিশেষায়িতকরণ দেওয়া হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইসলামের সেবা এবং ক্ষমতায়নের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ইসলামী সমাধান প্রস্তাব করার জন্য তাদের সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণা করতে সক্ষম হওয়া উচিত। তাদের অবশ্যই নাস্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করতে সক্ষম হতে হবে। তাদের অবশ্যই ইসলাম ও যুক্তির উপর ভিত্তি করে কার্যকর এবং দক্ষ সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক নীতি প্রস্তাব করতে সক্ষম হতে হবে। মাদ্রাসা ব্যবস্থাকে স্বাধীন, স্ব-পরিচালিত চিন্তাবিদ এবং শিক্ষার্থী তৈরি করতে হবে, অর্থাৎ যুক্তি এবং সত্য দাবি কার্যকরভাবে সনাক্তকরণ, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানীয় দক্ষতা এবং বৌদ্ধিক মনোভাবের বিস্তৃত পরিসর; ব্যক্তিগত পূর্ব ধারণা এবং পক্ষপাত আবিষ্কার এবং কাটিয়ে ওঠা; সিদ্ধান্তের সমর্থনে বিশ্বাসযোগ্য কারণ তৈরি এবং কী বিশ্বাস করা উচিত এবং কী করা উচিত সে সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত, বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নেওয়া কারণ, বর্তমানে এটি মুঘল যুগে আটকে আছে।। Mohammad Mushfequr Rahman ✍️