
নূরুস সাকালাইন
February 8, 2025 at 07:44 PM
পবিত্র কুরআনে মানুষের সৃষ্টির বিষয়ে আয়াতসমূহ
মাটির থেকে সৃষ্টি
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا شُيُوخًا
(আল্লাহ তিনিই, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, তারপর শুক্র থেকে, তারপর জমাট রক্ত থেকে, তারপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে পৃথিবীতে আনেন, পরে তোমরা পূর্ণবয়স্ক হও, অতঃপর তোমরা বৃদ্ধ হয়ে যাও...)
(সুরা গাফির, আয়াত ৬৭)
মাটি ও আল্লাহর আত্মা থেকে সৃষ্টি
وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي خَالِقٌ بَشَرًا مِنْ صَلْصَالٍ مِنْ حَمَإٍ مَسْنُونٍ فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ
(আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো কাদামাটি থেকে, যা পরিবর্তিত ও কালো কাদা থেকে এসেছে। (স্মরণ করো) যখন তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বললেন: আমি মানুষ সৃষ্টি করব শুকনো কাদামাটি থেকে, যা পরিবর্তিত কাদা থেকে এসেছে। অতঃপর যখন আমি তাকে পরিপূর্ণ গঠন দান করলাম এবং তার মধ্যে আমার আত্মা ফুঁকে দিলাম, তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাহ করো।)
(সুরা হিজর, আয়াত ২৬-২৯)
মানুষের সৃষ্টি শুক্র থেকে ও নারী-পুরুষের যুগল সৃষ্টি
وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى مِنْ نُطْفَةٍ إِذَا تُمْنَى
(তিনি নারী ও পুরুষের যুগল সৃষ্টি করেছেন, সেই শুক্রবিন্দু থেকে যা (মায়ের গর্ভে) প্রবাহিত হয়।)
(সুরা নাজম, আয়াত ৪৫-৪৬)
মানুষের সৃষ্টির বিষয়ে হাদিসসমূহ
মানুষের সৃষ্টি ও গর্ভের ধাপসমূহ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ خَلْقُهُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا نُطْفَةً، ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ يُرْسَلُ إِلَيْهِ الْمَلَكُ فَيَنْفُخُ فِيهِ الرُّوحَ
(তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি মায়ের গর্ভে প্রথম ৪০ দিন শুক্ররূপে থাকে, এরপর ৪০ দিন জমাট রক্ত হয়, এরপর ৪০ দিন এক টুকরো মাংস হয়। তারপর আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা তার নিকট পাঠানো হয়, যে তার মধ্যে আত্মা প্রবাহিত করে।)
(সহিহ বুখারি, হাদিস ৩২০৮)
আদম (আ.) এর সৃষ্টি ও মানবজাতির বৈশিষ্ট্য
হযরত আলী (আ.) বলেছেন:
ثُمَّ جَمَعَ سُبْحَانَهُ مِنْ حَزْنٍ وَ سَهْلٍ وَ عَذْبٍ وَ سَبَخٍ، فَأَمْزَجَهُ بِلُطْفِهِ، وَ أَلْيَنَهُ بِرَحْمَتِهِ، وَ أَجْمَدَهُ بِحِكْمَتِهِ، فَتَوَلَّدَتْ مِنْهُ صُورَةٌ مُعْتَدِلَةٌ وَ أَعْضَاءٌ مُفَصَّلَةٌ وَ أَجْزَاءٌ مُتَفَرِّقَةٌ، جَمَعَهَا بَعْدَ التَّفْرِقَةِ، وَ فَرَّقَهَا بَعْدَ الْجَمْعَةِ
(এরপর আল্লাহ তায়ালা মানুষের সৃষ্টি করেছেন কঠিন ও নরম মাটি, মিষ্টি ও নোনা মাটি একত্র করে। তিনি এতে নমনীয়তা দান করেছেন তাঁর করুণার মাধ্যমে, এবং দৃঢ়তা দান করেছেন তাঁর প্রজ্ঞার মাধ্যমে। এ থেকে তিনি একটি পরিপূর্ণ আকৃতি সৃষ্টি করেছেন, যেখানে রয়েছে সুবিন্যস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও গঠিত অংশসমূহ। অতঃপর তিনি তাকে প্রাণ দান করলেন এবং তাকে জ্ঞান, শ্রবণ, দৃষ্টি এবং বিবেক দান করলেন।)
(নাহজুল বালাগা, খুতবা ১)
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন:
مَا خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَ جَلَّ الْخَلْقَ إِلَّا لِيَعْرِفُوهُ، فَإِذَا عَرَفُوهُ عَبَدُوهُ، وَ إِذَا عَبَدُوهُ اسْتَغْنَوْا بِعِبَادَتِهِ عَنْ عِبَادَةِ مَا سِوَاهُ
(আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র যাতে তারা তাঁকে চিনতে পারে, এবং যখন তারা তাঁকে চিনতে পারবে, তখন তাঁকে ইবাদত করবে। আর যখন তারা তাঁকে ইবাদত করবে, তখন তারা তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে অন্যান্য সকল ইবাদত থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।)
(কিতাব আত-তাওহীদ, শেখ সাদুক, অধ্যায় ২২, হাদিস ১)
এই কুরআনিক আয়াত ও হাদিসসমূহ মানব সৃষ্টির উৎস, গঠন প্রক্রিয়া এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা প্রদান করে।
https://www.facebook.com/NoorAsSaqlain
https://chat.whatsapp.com/DefFRtm98gx0nw4xwuciam
https://whatsapp.com/channel/0029VanFfku6RGJCnmoecU3Z