এইটা একদম পরিকল্পিত ছবিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে.... তুলসী মন্দির সাধারণত বাজার হাটে থাকে না। আমি যে জায়গায় বসবাস করি সেখানে যে কয়টা বাজার আছে কোন বাজারের মাঝখানে তুলসী মন্দির নেই। শনি মন্দির আছে, কালীমন্দির আছে, তুলসী মন্দির নেই। কারণ সনাতনী হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী তুলসী মন্দির হিন্দু গৃহস্থ বাড়িতে স্থাপন করা হয়.....। প্রশ্ন জাগে: ❓ এই ‘তুলসী মঞ্চ’ কি হঠাৎ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠল? ❓ না কি এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনার অঙ্গ? 🧱 হিন্দু ঐতিহ্য নয়, রাজনৈতিক অস্ত্র বানানো হচ্ছে তুলসী মঞ্চ বরাবরই হিন্দু গৃহস্থ বাড়ির উঠোনের ধর্মীয় ঐতিহ্য। সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজিয়ে ধূপ-ধুনো দিয়ে পুজো, শান্তি ও শুদ্ধতার প্রতীক তুলসী—তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু রাস্তার উপর, তাও এমন একটি এলাকায় যেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী রয়েছে, সেখানে হঠাৎ তুলসী গাছ? এটা ধর্মের অপব্যবহার, একটি দলীয় চক্রান্ত। 🧨 আসল ঘটনা কী? ঘটনাটি ঘটে রবীন্দ্রনগর থানার অন্তর্গত মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে। একটি ফল বিক্রেতার দোকান ঈদের সময় বন্ধ ছিল—সে বাড়ি গিয়েছিল। ফিরে এসে সে দেখে, তার জায়গা দখল করে সেখানে ইট দিয়ে ঘেরা একটি মঞ্চ বানানো হয়েছে, তুলসী গাছ লাগানো হয়েছে, হিন্দু প্রতীক বসানো হয়েছে। অর্থাৎ, পুরো পরিকল্পনা তৈরি। দখল, ধর্ম, উত্তেজনা—সবই সাজানো। 🧠 বিজেপির চেনা খেলা: ● যেখানে মুসলিম জনবসতি বেশি, সেখানে হিন্দু ধর্মীয় চিহ্ন বসাও। ● কেউ প্রশ্ন তুললে ‘ধর্মে আঘাত’ বলে চিৎকার করো। ● সামাজিক শান্তি নষ্ট করে রাজনৈতিক লাভ তোলো। এটাই বিজেপির সাম্প্রদায়িক খেলা। সারা দেশে এই কাজ করেছে—কাশ্মীর থেকে কাশী, গুজরাট থেকে গাজিয়াবাদ। এখন বাংলার মাটিতেও ঢুকিয়ে দিতে চায়। ✊ আমাদের বার্তা: 🔹 ধর্মে আমাদের কিছু বলার নেই—আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি। 🔹 কিন্তু ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে, তারা ধর্মকেই অপমান করে। 🔹 মুসলিম হোক বা হিন্দু—ফুটপাথের দখল বেআইনি। 🔹 ধর্ম মানে শান্তি, সম্প্রীতি—not দখল, নাটক, দাঙ্গা। https://whatsapp.com/channel/0029Va8YVd2GOj9rEfHO3d2Q