
মাজালিসে হজরতজী (রহঃ)
77 subscribers
Similar Channels
Swipe to see more
Posts

নেক ধারণা উত্তম এবাদতে অন্তর্ভুক্ত সময় তখন ১৯৪১ সাল। হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস (রাহঃ) দাওয়াতের তাকাজার কারণে উনার হায়াতে জিন্দেগীতে মক্কা মদিনা ছাড়া বিশ্বের আর কোন প্রান্তে যাওয়ার সময় হয় নি। হযরতজী (রাহঃ) এর মৃত্যুর পূর্বে পাকিস্তান ওয়ালারা উনাকে মহব্বত করে পাকিস্তানে নিয়ে যান। মাওলানা ইলিয়াছ (রাহঃ) কে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর খুব একরাম করেন, তাজিম করেন। পাকিস্তান ওয়ালারা বলে, হযরত আমরাও দাওয়াতের কাজ করতে চাই। আপনি আমাদের জন্যে দোয়া করেন যেন আমরা এখান থেকে সারা দুনিয়াতে দ্বীনের জামাত নিয়ে নিজেরা করতে পারি এবং সারা দুনিয়ার তাকাজা পুরন করতে পারি। সে সময় হাজী আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) কম বয়সী যুবক। একটা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত। ১ম হজরতজী (রাহঃ) গোসল করতে পারতেন না। উনার শারীরিক সমস্যা ছিল। পাকিস্তান ওয়ালারা মহব্বত করে কুসুম গরম পানি দিয়ে উনাকে গোসল করিয়ে দিয়েছিলেন। গোসলের পর খানা পিনা করিয়ে বিশ্রামের ব্যবস্থা করলেন। হযরতজীর অনেক ভালো লেগেছিল। তখন হযরতজী (রাহঃ) খুব দোয়া করলেন আল্লাহ, এই মজমাকে এই জায়গাকে দ্বীনের মারকাজ হিসেবে কবুল করুন, আমীন। হাজী আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) এর নিজস্ব প্রোপার্টির উপর বর্তমানে রায়বেন্ড মারকাজ মসজিদ। আল্লাহ পাক হজরতজীর দোআর বরকতে পাকিস্তানকে শুরা দেশ (৩ দেশের এক দেশ) হিসেবে কবুল করেছেন। হজরতজী (রাহঃ) এর দোআ আর পাকিস্তান ওয়ালাদের কোরবানি মুজাহেদার বরকতে আল্লাহ পাক বহু দেশ ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা সহ অনেক দেশে নবীওয়ালা মেহনত দোবারা চালু করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। ২য় হজরতজী মাওলানা ইউসুফ (রাহঃ) উনার এন্তেকালের পূর্বে একবার ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশে লম্বা সফর করেছিলেন। নেত্রকোনা, জামালপুর ও ময়মনসিংহ সহ আরও কয়েকটি জেলায়। তখন এক মোজাকারায় বলেছিলেন, পাকিস্তান ওয়ালাদের কোরবানি, হিন্দুস্থান ওয়ালাদের মেহমানদারি আর বাঙ্গালীদের চোখের পানি, এই ৩ জিনিসের বরকতে আল্লাহ পাক গ্রামে-শহরে, অলিতেগলিতে, পাহাড়ে, জঙ্গলে, দ্বীপগুলোতে অর্থ্যাত সারা দুনিয়াতে দ্বীন ও দ্বীনের মোবারক মেহনত পৌছাবেন ইনশাআল্লাহ। মেহেরবানি করে আল্লাহ পাক তা সহজ করে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। মাশা আল্লাহ, বড়দের নেক গোমান কতই না কাবিলে কবুল।

শয়তানের সফলতা দুই কাজে, ১। অহেতুক কাজ চালু করা। ২। নিজের শান্তির ফিকির করা। হজরতজ্বী মাওলানা ইলিয়াস (রাহঃ) সবাই আজ নিজ শান্তির ফিকিরে ব্যস্ত। মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরন, মানুষকে শান্তি পৌছানো এসব নেক আমল যেন ক্ষতম হয়ে গেছে দুনিয়া থেকে।

*আত্মসমালোচনার জন্য আমাদের সাথীদের উদ্দেশে একটা কথা বলিঃ* মাশা আল্লাহ, আমাদের সাথীদের অনেকেই দাওয়াতের উক্ত মেহনতকে নিজের জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছেন এবং এই কাজকে নিজের কাম মনে করেন। কিন্তু নিজের সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা দেওয়াকে নিজের দায়িত্ব মনে করেন না। মনে করেন, কিন্তু গুরুত্বের সাথে না। একটা ছেলেকে মাদ্রাসায় কোনো রকম ফেলে আসলে মনে করেন, ব্যাস, আমার দায়িত্ব শেষ। এবার সে মাদ্রাসা থেকে বিশাল বড় আল্লামা হয়ে বের হবে... নারে ভাই, একটা ছেলেকে মানুষকে করতে তার পিছনে অনেক সময় দেওয়া লাগে, অনেক শ্রম দেওয়া লাগে। আপবীতি পড়েন! দেখেন, মাওলানা যাকারিয়া (রাহঃ)-কে তার পিতা কিভাবে পদে পদে তারবিয়ত করেছেন! চোখের সামনে আমাদের হালকার মেহনত করনেওয়ালা সাথীদের সন্তানগুলোর জীবন নষ্ট হতে দেখে খুব দুঃখ লাগে। তিনি নিয়মিত মাসে তিনদিন সময় লাগান, কিন্তু কোনো দিন তার ছেলের মাদ্রাসায় গিয়ে ওস্তাযকে জিজ্ঞাসা করেন নাই যে, তার ছেলের পড়ার কী অবস্থা ? তার কোন্ দিকটা দুর্বল বা কোনো ত্রুটি আছে কিনা ?! এমন রোগে আমরা অনেকেই আক্রান্ত, তাই মনে দুঃখ থেকে গ্রুপে বিষয়টা লেখলাম। দয়া করে সতর্ক হোন। আপনার সন্তানের প্রতি গুরুত্বের দৃষ্টি দিন। তার পিছনে সময় দিন। তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত যোগযোগ রক্ষা করুন। সন্তানের দুর্বল দিকগুলো সবল করার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তানকে আপনি সহীহ ইলম শিক্ষা না দিয়ে যেতে পারলে সেও একই অন্ধকারে থেকে যাবে, যেই অন্ধকারের কারণে আমাদের কাছে ইসলাম-কোরআন-হাদীসের চেয়ে মুরুব্বী ও মুরুব্বীর বংশধরের দাম বেশি। *আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহীহ সমঝ দান করেন।*