
মাজালিসে হজরতজী (রহঃ)
February 10, 2025 at 10:45 AM
নেক ধারণা
উত্তম এবাদতে অন্তর্ভুক্ত
সময় তখন ১৯৪১ সাল।
হযরতজী মাওলানা ইলিয়াস (রাহঃ) দাওয়াতের তাকাজার কারণে উনার হায়াতে জিন্দেগীতে মক্কা মদিনা ছাড়া বিশ্বের আর কোন প্রান্তে যাওয়ার সময় হয় নি। হযরতজী (রাহঃ) এর মৃত্যুর পূর্বে পাকিস্তান ওয়ালারা উনাকে মহব্বত করে পাকিস্তানে নিয়ে যান। মাওলানা ইলিয়াছ (রাহঃ) কে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার পর খুব একরাম করেন, তাজিম করেন। পাকিস্তান ওয়ালারা বলে, হযরত আমরাও দাওয়াতের কাজ করতে চাই। আপনি আমাদের জন্যে দোয়া করেন যেন আমরা এখান থেকে সারা দুনিয়াতে দ্বীনের জামাত নিয়ে নিজেরা করতে পারি এবং সারা দুনিয়ার তাকাজা পুরন করতে পারি। সে সময় হাজী আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) কম বয়সী যুবক। একটা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত।
১ম হজরতজী (রাহঃ) গোসল করতে পারতেন না। উনার শারীরিক সমস্যা ছিল। পাকিস্তান ওয়ালারা মহব্বত করে কুসুম গরম পানি দিয়ে উনাকে গোসল করিয়ে দিয়েছিলেন। গোসলের পর খানা পিনা করিয়ে বিশ্রামের ব্যবস্থা করলেন। হযরতজীর অনেক ভালো লেগেছিল। তখন হযরতজী (রাহঃ) খুব দোয়া করলেন আল্লাহ, এই মজমাকে এই জায়গাকে দ্বীনের মারকাজ হিসেবে কবুল করুন, আমীন।
হাজী আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) এর নিজস্ব প্রোপার্টির উপর বর্তমানে রায়বেন্ড মারকাজ মসজিদ। আল্লাহ পাক হজরতজীর দোআর বরকতে পাকিস্তানকে শুরা দেশ (৩ দেশের এক দেশ) হিসেবে কবুল করেছেন।
হজরতজী (রাহঃ) এর দোআ আর পাকিস্তান ওয়ালাদের কোরবানি মুজাহেদার বরকতে আল্লাহ পাক বহু দেশ ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা সহ অনেক দেশে নবীওয়ালা মেহনত দোবারা চালু করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
২য় হজরতজী মাওলানা ইউসুফ (রাহঃ) উনার এন্তেকালের পূর্বে একবার ১৯৬৩ সালে বাংলাদেশে লম্বা সফর করেছিলেন। নেত্রকোনা, জামালপুর ও ময়মনসিংহ সহ আরও কয়েকটি জেলায়। তখন এক মোজাকারায় বলেছিলেন, পাকিস্তান ওয়ালাদের কোরবানি, হিন্দুস্থান ওয়ালাদের মেহমানদারি আর বাঙ্গালীদের চোখের পানি, এই ৩ জিনিসের বরকতে আল্লাহ পাক গ্রামে-শহরে, অলিতেগলিতে, পাহাড়ে, জঙ্গলে, দ্বীপগুলোতে অর্থ্যাত সারা দুনিয়াতে দ্বীন ও দ্বীনের মোবারক মেহনত পৌছাবেন ইনশাআল্লাহ।
মেহেরবানি করে আল্লাহ পাক তা সহজ করে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
মাশা আল্লাহ, বড়দের নেক গোমান কতই না কাবিলে কবুল।
❤️
2