
Ramakrishna Math & Ramakrishna Mission, Dhaka
120 subscribers
About Ramakrishna Math & Ramakrishna Mission, Dhaka
Started in 1899 by the devotees and affiliated as a combined centre to Belur Math, West Bengal, India in 1916, Ramakrishna Mission, Dhaka as a pioneer centre with its Principal Office at 27, Ramakrishna Mission Road, Dhaka-1203, Bangladesh, has been engaged in different fields of work ─ humanitarian, spiritual, educational, socio-cultural, relief and rehabilitation and medical services since its inception to serve the cause of the humanity.
Similar Channels
Swipe to see more
Posts

পাণ্ডিত্যের গর্ব চূর্ণ করার জন্যই আমাদের ঠাকুর এসেছেন। অহঙ্কার, অভিমান, আসক্তি তাঁর মধ্যে একটুও ছিল না। পবিত্র ও সত্যনিষ্ঠ না হলে হবে না। ... তাঁকে পেতে হলে অসীম শ্রদ্ধা ও অটল বিশ্বাস চাই। ... দুষ্ট ‘কাঁচা-আমি’-কে দূর না করলে অহঙ্কার, অভিমান না গেলে কিছুই হবে না। - স্বামী প্রেমানন্দ (আনন্দলোকে, পৃ. ২২)


...ধ্যানজপ নিত্য নিয়মিতভাবে করলে তাতে মন শুদ্ধ হয় এবং সে—ভাব হৃদয়ে পাকা হয়ে যায়। নিত্য নিরন্তর অভ্যাস করা চাই । গীতাতে ভগবান বলেছেন—'অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে।' ব্যাকুল হয়ে কেঁদে কেঁদে নিত্য ডেকে যা ; দেখবি যে, সেই ব্রহ্মশক্তি, কুলকুণ্ডলিনী জেগে উঠবেন, ব্রহ্মানন্দের রাস্তা খুলে দেবেন। সেই ব্রহ্মময়ী মা প্রসন্না হলেই সব হলো। চণ্ডীতে আছে-'সৈষা প্রসন্না বরদা নৃণাং ভবতি মুক্তয়ে।' সেই তিনিই প্রসন্না হয়ে মানবগণের মুক্তির জন্য বর প্রদান করেন। তিনি দু-হাত বাড়িয়ে আছেন দেবার জন্য ; কিন্তু নিচ্ছে কে ? তাঁর কাছে একটু কাতরপ্রাণে চাইলেই তিনি সব দিয়ে দেন—ভক্তি, মুক্তি সব। ---শিবানন্দ-বাণী


ঠাকুর পূর্বমুখ হইয়া পশ্চিম দিকের দরজার কাছে বসিয়াছিলেন। মন্ত্রোচ্চারণ-সহকারে পূজাদ্রব্য সকল শোধনের পর তিনি যথাবিধি পূর্বকৃত্য শেষ করিলেন এবং শ্রীমাকে নির্দিষ্ট পীঠে উপবেশনের জন্য ইঙ্গিত করিলেন। ... তিনি [শ্রীশ্রীমা] মন্ত্রমুগ্ধার ন্যায় পশ্চিমাস্য হইয়া ঠাকুরের সম্মুখস্থ পীঠে উপবেশন করিলেন। তখন মন্ত্রপূত কলসের জল লইয়া ঠাকুর বারংবার শ্রীমায়ের অভিষেক করিলেন। তারপর তাঁহাকে মন্ত্র শ্রবণ করাইয়া প্রার্থনামন্ত্র উচ্চারণ করিলেন, “হে বালে, হে সর্বশক্তির অধীশ্বরি মাতঃ ত্রিপুরসুন্দরি, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর; ইঁহার (শ্রীমায়ের) শরীর মনকে পবিত্র করিয়া ইঁহাতে আবির্ভূত হইয়া সর্বকল্যাণ সাধন কর।” পরে তিনি মাতাঠাকুরানীর অঙ্গে মন্ত্রসকলের যথাবিধি বিন্যাস করিয়া সাক্ষাৎ দেবীজ্ঞানে তাঁহাকে ষোড়শোপচারে পূজা করিলেন। পূজান্তে ভোগ নিবেদিত হইল। অবশেষে পূজক নিবেদিত মিষ্টান্নাদির কিয়দংশ স্বহস্তে তুলিয়া লইয়া দেবীর শ্রীমুখে প্রদান করিলেন। দেখিতে দেখিতে বাহ্যজ্ঞানশূন্যা শ্রীমা সমাধিস্থ হইলেন; ঠাকুরও অর্ধ-বাহ্যদশায় মন্ত্রোচ্চারণ করিতে করিতে সমাধিরাজ্যে চলিয়া গেলেন।... তিনি দেবীকে আত্মনিবেদন করিলেন। অনন্তর আপনার সহিত নিজ সাধনার এবং জপের মালা প্রভৃতি সর্বস্ব দেবীর শ্রীচরণে চিরকালের জন্য বিসর্জন দিয়া মন্ত্রোচ্চারণ করিতে করিতে তাঁহাকে প্রণাম করিলেন, “হে সর্বমঙ্গলের মঙ্গলস্বরূপে, হে সর্বকর্মনিষ্পন্ন - কারিনী, হে শরণদায়িনী, ত্রিনয়নী, শিবগেহিনী গৌরি, হে নারায়ণি, তোমাকে প্রণাম করি।” - (শ্রীমা সারদা দেবী, পৃ. ৬৫)


https://www.facebook.com/100064403724933/posts/1112533387570108/

https://dhakarkmm.org/donations/
