
সরল পথের সন্ধানে
47 subscribers
About সরল পথের সন্ধানে
একটি ইসলামিক দাওয়াহ ডিজাইন চ্যানেল। শুধুমাত্র রবের সন্তুষ্টির জন্য ইনশাআল্লাহ।
Similar Channels
Swipe to see more
Posts

আমাদের whatsapp group link : https://chat.whatsapp.com/CO6Ck1laL5GD1OnCC9FmZR

*অভ্যাস যেন আমাদের সর্বক্ষণ ডেকে ডেকে বলে---* আমি তোমার সার্বক্ষণিক বন্ধু, তোমার মালিকানার সকলকিছু থেকে আমি আরও দামি, অথবা তুমি যা বহন করো, তার সবকিছু থেকে আমি অধিক ভারী। আমি অবশ্যই তোমাকে সফলতার দিকে ধাবিত করব অথবা আমিই তোমাকে টেনে নিয়ে যাব ব্যর্থতার দিকে। আমি তোমার ইশারার অধীন, আমি তোমার খেদমতে হাজির। তুমি যা-কিছু করো, সবকিছুর দায় আমার দিকে ফিরে আসে। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। তুমি শুধু আমার সঙ্গে কঠোর হও। দৃঢ়তার সঙ্গে আমাকে শুধু দেখিয়ে দাও তুমি কোন কাজে কীভাবে আগ্রহী, তাহলে আমি নিজেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেটা করতে সক্ষম হয়ে যাব। জেনে রেখো, আমি একই সময়ে সকলেরই সেবক, মহানদের এবং ব্যর্থদেরও। এই যে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, আমিই তাদের সম্মান তৈরি করেছি। আর ওই যে ব্যর্থ ব্যক্তিগণ, আমিই তাদের ব্যর্থ করেছি। আমি যদিও কোনো বস্তুগত উপকরণ নই, তবুও আমি খুব যথাযথভাবে কাজ করি। তুমি আমাকে সফলতার জন্য ব্যবহার করতে পারো। আবার একই সময়ে তুমি আমাকে ব্যবহার করতে পারো তোমার ধ্বংসের জন্য, কোনো পার্থক্য নেই। অতএব, আমাকে গ্রহণ করো, আমাকে প্রশিক্ষিত করো আর আমার সঙ্গে হও কঠোর, তাহলে পুরো বিশ্ব আমি তোমার প্রতি আকর্ষিত করে তুলব এবং বিশ্বকে তোমার হাতের মুঠোয় এনে রাখব। আর যদি আমার সঙ্গে শিথিল হও. অচিরেই আমি তোমাকে ধ্বংস করব। তাহলে এবার বলো, আমি কে? আমি অভ্যাস। (ম্যাক অ্যান্ডারসন এবং জন জে. মারফি) এটা হলো নিজের সম্পর্কে অভ্যাসের বক্তব্য। সে আপনাকে জানাচ্ছে এবং নিজের পরিচয় দিচ্ছে যে, সে আপনার সফলতা ও ব্যর্থতার কারণ, আপনার সার্থকতা ও হতাশার কারণ। আপনার জাগরণ ও মর্যাদা নির্মাণে সেই হলো সবচেয়ে বড় কর্মী। আবার সেই হলো আপনার পিছিয়ে পড়া এবং দমে যাওয়ার মূল রহস্য। সুতরাং আপনি তার থেকে এমন কিছু গ্রহণ করুন, যার মাধ্যমে মর্যাদা বৃদ্ধি হবে। তার মাধ্যমে এমন কিছু লিখুন, যা আপনাকে উজ্জ্বল জীবনের দিকে ঠেলে দেবে। আর আপনার মতো ব্যক্তিই পারে ভালো-মন্দের যথাযথ পার্থক্য নির্ণয় করতে!

আপনারা লক্ষ করে থাকবেন, বাসে বা স্টেশনের প্লাটফর্মে অপেক্ষারত অবস্থায় আপনার পাশের সিটে কোনো পুরুষ এসে বসে গেলে আপনি টেরই পান না। বা সেদিকে অতটা খেয়াল করেন না। কিন্তু যদি কোনো নারী বসে তাহলে মস্তিষ্ক বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তাকে ঘিরে নানা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। . অন্তরে লালসা থাকার কারণেই এরূপ হয়। অথচ এই মহিলাই যদি বৃদ্ধা হতো তাহলে কিন্তু সেদিকে খেয়াল যেত না। এটা এ কথার প্রমাণ যে, অন্তরে আবর্জনা থাকে। এ জন্যই এই আকর্ষণ ইচ্ছাকৃতভাবে মন থেকে দূর করার চেষ্টা করতে হবে। . রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে, হে প্রভু, আমাকে পরনারী থেকে লালসামুক্ত করে দিন। হে ওই সত্ত্বা, যার আঙুলে মানুষের হৃদয়। আমার অন্তর থেকে পরনারীর অনুভূতি দূর করে দিন। যাতে আমার কাছে পরনারী ও দেয়ালের মাঝে কোনো ব্যবধান না থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই এর বরকত প্রকাশ পেতে থাকবে ইনশাআল্লাহ। . বই - এখন যৌবন যার

গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির পাশাপাশি দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোরের পুলিশ। বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুরে বড়াইগ্রামের থানার মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— বাসচালক বাবলু আলী (৩০), রাজশাহীর বোয়ালিয়ার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে; সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩), সাধুর মোড় এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে; এবং সহকারী মাহবুব আলম (২৮), পূর্ব কাঁঠালিয়া এলাকার আঙুর মণ্ডলের ছেলে। ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের বাসটি সোমবার রাত ১০টায় গাবতলী থেকে ছেড়ে আসে। পথে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় বাসটিতে আরও কয়েকজন যাত্রী ওঠে। পরে টাঙ্গাইল জেলায় পৌঁছালে নতুন ওঠা যাত্রীদের সঙ্গে আরও কয়েকজন মিলে ৮-১০ জনের একটি দল বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা যাত্রীদের মালামাল লুটপাট করে এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর মির্জাপুর এলাকায় নেমে যায়।” তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে বাসটি বড়াইগ্রাম থানার মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা বাসটি আটকে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে বাসের চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এবং বাসটি জব্দ করে। বাসযাত্রী মজনু আকন্দ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছাড়ার কিছু সময় পরই আটজন ডাকাত চাকু, ছুরি ও পিস্তল নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। তারা প্রায় ৪০-৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয়।” তিনি আরও জানান, ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং বাসটিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় নির্জন স্থানে থামিয়ে পালিয়ে যায়। তবে মির্জাপুর থানায় বিষয়টি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাসের আরেক যাত্রী ওমর আলী বলেন, “ডাকাতদের সহায়তা করেছেন বাসের চালক ও তার সহযোগীরা। আমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।” এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু ঘটনাটি টাঙ্গাইলে ঘটেছে, তাই বড়াইগ্রাম থানায় মামলা নেওয়ার সুযোগ নেই। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ওই ঘটনায় জড়িত বলে যাত্রীরা সন্দেহ করছে। তাই তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।”

দুআ কবুলের ব্যাপারে মনে দ্বিধা রাখবেন না। আল্লাহ শয়তানের দুআ কবুল করেছেন, আর তিনি আপনার দুআ কবুল করবেন না? শয়তান দুআ করেছিল তাকে যেন পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দেওয়া হয়। “(ইবলীস) বলল, “আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন। (আল্লাহ) বললেন, “তুই অবকাশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সূরাহ আরাফ ৭:১৪-১৫] আপনি তো শয়তানের চেয়ে নিকৃষ্ট নন। আমরা যা-ই করি না কেন, শয়তানের চেয়ে আমরা বেশি খারাপ নই—যদিও আমাদের পাহাড়সম পাপ থাকে। যে আল্লাহ শয়তানের দুআ ফিরিয়ে দেননি, তিনি কি আমাদের দুআ ফিরিয়ে দেবেন? তাই আল্লাহ আপনার দুআ কবুল করবেন—এ কথা জেনে দৃঢ় সংকল্প সহকারে দুআ করুন। বই: ধূলিমলিন উপহার রামাদান

আবু হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবিজি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন — “ইযারের বা পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।” [সহীহ বুখারী, ৫৭৮৭] টিকা : ইযার মানে লুঙ্গি। তবে এই হাদিসের নিষেধাজ্ঞায় সব রকম পোশাক অন্তর্ভুক্ত। লুঙ্গি, প্যান্ট, পাজামা, জুব্বা ইত্যাদি কোন কিছুই টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পরা যাবে না পুরুষদের জন্য।

‘তুমি ধার্মিকতার গান গাও যেন তুমিও ধার্মিক, অথচ তোমার পোশাক থেকে পাপের গন্ধ বের হয়।’ وصفت التقى حتى كأنك ذو تقى وريح الخطايا من ثيابك تسطع. — আবুল আতাহিয়্যাহ [তাফসীরে কুরতুবী, ১/৪১০]

যেসব আমলে আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায় মুমিনের আত্মমর্যাদার বিকাশ ঘটে আল্লাহর আনুগত্য ও সৎ জীবনযাপনের মাধ্যমে; ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে পরিচ্ছন্ন জীবন কাটানোর মাধ্যমে। এই পরিচ্ছন্ন জীবনের অংশ হিসেবে শরিয়ত কিছু বিধান প্রণয়ন করেছে। যেমন— ১. নারীর পর্দা : মানবসভ্যতার সূচনা থেকে নারীর সম্মান ও সম্ভ্রমকে তার পরিবার ও গোত্র নিজের সম্মান হিসেবে গণ্য করে। বিশেষত পুরুষের জন্য তার স্ত্রীর সম্মান ও সম্ভ্রম আত্মসম্মানের বিষয়। তাই ইসলাম নারীর সুরক্ষার জন্য পর্দার বিধান ফরজ করেছে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা (মুমিন নারী) যেন সাধারণত প্রকাশ পায় এমন ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১) ২. দৃষ্টি সংযত করা : কুদৃষ্টি নারীকে বিব্রত ও লজ্জিত করে এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের আত্মমর্যাদা তাতে আহত হয়। কুদৃষ্টি নারী-পুরুষ উভয়কে বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। তাই ইসলামে পুরুষ ও নারী উভয়কে দৃষ্টি অবনত রাখতে বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের বলুন! তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য উত্তম। তারা যা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩০) ৩. লজ্জা ও শালীনতা : লজ্জাহীনতা মানুষকে ব্যক্তিত্বহীন করে তোলে। নির্লজ্জ মানুষ যেকোনো কাজ করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) লজ্জাকে ঈমানের অংশ এবং সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘লজ্জা ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণ।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৭) ৪. সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষা : নিজের ও পরিবারের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে কেউ নিহত হলে ইসলাম তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেছে। তবে তা অবশ্যই মিথ্যা ও জাগতিক অহংকারপ্রসূত সম্মানবোধ নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার জন্য নিহত হলো সে শহীদ, যে ব্যক্তি তার পরিবারের (সম্মান রক্ষার) জন্য নিহত সে শহীদ, যে তার দ্বিন রক্ষার জন্য নিহত হলো সে শহীদ, যে আত্মরক্ষার জন্য নিহত হলো সে শহীদ।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪০৯৫) ৫. আত্মশুদ্ধি : ব্যক্তিত্বের পূর্ণতা ও আত্মমর্যাদাবোধ লাভের পূর্বশর্ত আত্মা পরিশুদ্ধ করা। কেননা লোভ-লালসা, অহংকার, ঘৃণা, হিংসা, ক্রোধ ইত্যাদি মানবীয় রিপু মানুষকে আত্মমর্যাদার পরিপন্থী ও পাপ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সফল যে আত্মা পরিশুদ্ধ করল এবং ক্ষতিগ্রস্ত যে তা কলুষিত করল।’ (সুরা : আশ-শামস, আয়াত : ৯-১০) আত্মমর্যাদাহীন মানুষের নিন্দা : পবিত্র কোরআনে আল্লাহ আত্মমর্যাদাহীন নির্লজ্জ মানুষের নিন্দা করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তারা কোনো অশ্লীল কাজ করে, তারা বলে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষকে এই কাজ করতে দেখেছি এবং আল্লাহ আমাদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। বলুন! নিশ্চয়ই আল্লাহ অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেন না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৮) আল্লাহ সবাইকে আত্মমর্যাদার দৌলত দান করুন। আমিন।

রমাদানের ২৪ ঘণ্টার রুটিন: . ইনশাআল্লাহ, এই রুটিনটি আমাদের জন্য মানতে সহজ হবে। আল্লাহই তাওফিকদাতা। . রাত ৩:০০ টার সময় ঘুম থেকে জাগা। ৩:০০—৩:১৫ অজু-ইস্তিঞ্জা (ওয়াশরুমের কাজ) সম্পন্ন করে নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। . ৩:১৫—৩:৪৫ তাহিয়্যাতুল উযু (২ রাকাত) ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। তাহাজ্জুদের নামাজ সর্বনিম্ন ২ রাকাত থেকে সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়াই উত্তম। তবে, এর বেশি পড়াও জায়েয। . ৩:৪৫—৩:৫৫ তাহাজ্জুদ শেষে ১০ মিনিট সময় আন্তরিকভাবে ইস্তিগফার ও দু‘আ করা। শেষ রাতের ইস্তিগফার ও দু‘আ আল্লাহ খুব পছন্দ করেন। যাদের খাবার খেতে সময় কম লাগে, তারা দু‘আয় আরো কিছু সময় যোগ করতে পারেন। . ৩:৫৫—৪:২০ সাহরি খাওয়া (২৫ মিনিট) বিভিন্ন এলাকাভেদে সময় এদিক-সেদিক হবে। প্রথম কয়েক দিন এখানে কিছু এক্সট্রা সময় বাকি থাকবে। আস্তে আস্তে কমে যাবে সময়। সম্ভব হলে তাহাজ্জুদ ও দু‘আর মধ্যে সময় আরেকটু বাড়িয়ে সাহরিতে কমিয়ে দেবেন। তবে, কোনোটাতেই তাড়াহুড়ো করবেন না। সাহরিও কিন্তু একটি ইবাদত! . ৪:২৫—৫:০০ অযু-ইস্তিঞ্জা সম্পন্ন করা, বিশ্রাম করা ও ফজরের নামাজ আদায় করা। . এরপর, খুব ভালো হবে—যদি ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সজাগ থেকে, যিকির ও তিলাওয়াত করে, সবশেষে ইশরাকের (দোহার/চাশতের) নামাজ পড়ে ঘুমানো যায়। . তাই যদি হয়, তবে— ৫:০০—৬:১০ সকালের মাসনুন যিকর, তিলাওয়াত ও ইশরাকের নামাজ পড়া। ইশরাকের নামাজের ফজিলত অনেক। সূর্যোদয় শুরুর ১০/১৫ মিনিট পরই ইশরাক পড়া যায়। তবে, উত্তম হলো ২৩ মিনিট পরে পড়া। . [আর যারা ফজরের পর ঘুমিয়ে যাবেন, তারা সকালের মাসনুন যিকরগুলো করে পাঁচটার মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে পারেন এবং ৮:০০/৮:৩০-এ জাগতে পারেন। এরপর চাশতের নামাজ পড়বেন। কমপক্ষে ২ রাকাত, উত্তম হলো ৪ রাকাত; চাইলে আরও বাড়াতে পারেন] . (যারা ইশরাক পড়ে ঘুমাতে যাবেন)— ৬:১৫—৯:০০ ঘুম (ইশরাকের নামাজ শেষে তিন ঘণ্টা ঘুমাবেন) . এরপর, যারা জব করেন, তারা কাজে যাবেন। যারা সম্পূর্ণ ফ্রি থাকবেন, তাদের জন্য নিচের সময়বণ্টন— . সকাল ৯:০০—১১:০০ কুরআন তিলাওয়াত [ইস্তিঞ্জা (ওয়াশরুমের কাজ) সেরে অজু করে প্রস্তুতি নিতে নিতেই চলে যাবে আধা ঘণ্টা। বাকি দেড় ঘণ্টা তিলাওয়াত। যারা একটানা তিলাওয়াত করতে পারেন না, তারা পাশাপাশি কোনো ধর্মীয় কিতাব পড়তে পারেন, নফল নামাজ পড়তে পারেন বা যিকর করতে পারেন] . ১১:০০—১২:৪৫ বাসার যাবতীয় কাজ করা, বাচ্চাকে সময় দেওয়া, নিজের কোনো অ্যাকাডেমিক কাজ, পড়ালেখা বা অধ্যয়ন থাকলে তা সম্পন্ন করা। . ১২:৪৫—১:০০ গোসল সম্পন্ন করা। (যারা ৯-টায় ঘুম থেকে জেগেই গোসল করতে চান, তারা সেভাবেই সময় সেট করে নেবেন) . ১:০০—১:৪৫ নামাজের প্রস্তুতি, জোহরের নামাজ এবং পরবর্তী মাসনুন দু‘আ ও যিকরগুলো করা। . ১:৪৫—৩:৪৫ অর্থসহ কুরআন পাঠ, তাফসির, হাদিস অথবা দ্বীনি কোনো কিতাবাদি অধ্যয়ন করা। যারা এখনো সহিহভাবে কুরআন পড়তে পারেন না, তারা শিখবেন। কিছু সুরা এবং দু‘আ-যিকর মুখস্থ করবেন। ক্লান্তি আসলে, মোবাইলে তিলাওয়াত অথবা দ্বীনি কোনো লেকচার/বয়ান শুনা যেতে পারে। . ৩:৪৫—৪:৪৫ ঘুম (দুপুরের হালকা ঘুম সুন্নাহ, একে হাদিসে বলা হয়েছে ‘কাইলুলাহ’। যদিও এটি আরেকটু আগে করতে হয়, তবে রামাদানে এই সময়ে একটু ক্লান্তি আসে। আর এই সময়টা কাটতে চায় না যেনো। তাই, এই সময়ে ঘুম বা একটু বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে) * যারা ঘুমাতে চান না, তারা অন্য কোনো প্রোডাক্টিভ কাজ করতে পারেন এ সময়ে। অথবা যেকোনো নেক আমল। . ৪:৪৫—৫:১৫ অজু-ইস্তিঞ্জা সম্পন্ন করা, আসরের সলাত আদায় করা ও মাসনুন যিকরগুলো পড়া। . ৫:১৫—ইফতার পর্যন্ত শরবত/পানীয় প্রস্তুত করা এবং ইফতার তৈরি করা বা তৈরিতে সাহায্য করা। ইফতারের আগ মুহূর্তে দু‘আ করা। (ইফতারের আয়োজন কম ও সহজ হলে আসরের পর ৩০ মিনিট কুরআন-হাদিসের তালিম হতে পারে—পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে। অথবা সম্মিলিত কোনো দ্বীনি আলোচনা, কিংবা কুরআন তিলাওয়াত করা। এরপর ইফতারের প্রস্তুতি ও সর্বশেষ ইফতারের পূর্বে দু‘আ।) . [সকালের যিকরগুলো ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া থেকে নিয়ে ফজরের পরেও করতে পারেন (তবে, সূর্যোদয়ের আগেই শেষ করবেন)। আর বিকাল বা সন্ধ্যার যিকরগুলো আসরের পর অথবা মাগরিবের পর পড়তে পারেন। দুটোর পক্ষেই সহিহ দলিল আছে এবং আলিমগণের মতামত রয়েছে] . মাগরিবের পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিশ্রামের সময়। এসময় আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের খোঁজ নেওয়া যেতে পারে বা অনলাইনে কিছু সময় কাটানো যেতে পারে। এরপর ইস্তিঞ্জা ও অজু সেরে নামাজের জন্য প্রস্তুত হওয়া। . ৮:০০—১০:০০ ইশা ও তারাবির সলাত আদায় করা (সলাতে যত বেশি সময় দেওয়া যায়, তত ভালো। আমরা অ্যাভারেজ একটি হিসাব ধরেছি, যা খুব বেশি নয় আবার খুব কমও নয়। এখানে কম-বেশি হতে পারে) . নামাজ যদি পৌনে দশটায় শেষ হয়ে যায়, তবে ৯:৪৫—১০:৪৫ এই এক ঘণ্টার মধ্যে তিন ধরনের কাজ করা যেতে পারে। সেগুলো হলো: (১) প্রয়োজনবোধ করলে হালকা খাবার খাওয়া; (২) মেন্টাল রিফ্রেশমেন্টের জন্য গল্প করা অথবা অনলাইনে একটু উঁকি দেওয়া; (৩) ঘুমানোর পূর্বের যিকর, দু‘আ ও সুরাগুলো পাঠ করা। আর যদি নামাজ শেষ হতে ১০ টা বেজে যায়, তবে ১১ টার মধ্যে এগুলো করা যেতে পারে। . অতঃপর রাত ১০:৪৫/১১:০০—৩:০০ পর্যন্ত ঘুম। (রাতে ৪ ঘণ্টা এবং দিনে দুই দফায় আরো ৪ ঘণ্টা ঘুম। সব মিলিয়ে ৮ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট) . শেষকথা: ঘড়ি ধরে রুটিন অনুসরণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাছাড়া সবার রুটিন সমান হবে, এমন আশা করাও উচিত নয়। সবাই নিজেদের ফেভার থেকে এই রুটিন এদিক-সেদিক করে নেবেন। রামাদানের ইবাদত করুন স্বাচ্ছন্দ্যে; আগ্রহ নিয়ে; ভালোবাসার সাথে। নিজের উপর প্রেশার নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিকে বিরক্তির পর্যায়ে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাহলে শেষমেষ কিছুই হবে না। আল্লাহ্ আমাদের তাওফিক দান করুন। সাহায্যকারী ও তাওফিকদাতা একমাত্র তিনিই। . ✍️ Nusus