📖 রহমত, বরকত ও মাগফিরাত সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত 🌿 রহমত (আল্লাহর দয়া) সম্পর্কিত আয়াত 1️⃣ “বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনিই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” —(সূরা আজ-জুমার ৩৯:৫৩) 2️⃣ “আমার রহমত সব কিছুকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে। সুতরাং আমি তা তাদের জন্য লিখে দেব, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় এবং যারা আমার আয়াতের প্রতি ঈমান আনে।” —(সূরা আল-আ’রাফ ৭:১৫৬) 3️⃣ “নিশ্চয়ই তোমাদের রব অত্যন্ত দয়ালু ও করুণাময়।” —(সূরা আনআম ৬:৫৪) 4️⃣ “যে আল্লাহর প্রতি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেন এবং এমন উৎস থেকে তাকে রিযিক দেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।” —(সূরা আত-তালাক ৬৫:২-৩) 5️⃣ “আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অসীম রিজিক দেন, আর তিনি শক্তিশালী ও প্রজ্ঞাময়।” —(সূরা আশ-শুরা ৪২:১৯) 📖 রহমত (আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ) সম্পর্কিত হাদিস কোটেশন 1️⃣ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আল্লাহ তায়ালা দয়ালু। তিনি দয়া ও নম্রতাকে ভালোবাসেন এবং কঠোরতা ও রূঢ়তার বদলে দয়ার বিনিময়ে যা দেন, তা অন্য কিছুতে দেন না।” —(মুসলিম, ২৫৯৩) 2️⃣ “যারা দয়া করে, দয়ালু আল্লাহ তাদের প্রতি দয়া করেন। তোমরা পৃথিবীর অধিবাসীদের প্রতি দয়া করো, তাহলে আকাশের মালিক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।” —(তিরমিজি, ১৯২৪) 3️⃣ “আল্লাহ তায়ালা বলেন: আমার দয়া আমার ক্রোধকে অতিক্রম করে।” —(বুখারি, ৭৫৪৪) 4️⃣ “নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত শত ভাগ। এর মধ্যে এক ভাগ পৃথিবীতে নازل করেছেন, যার ফলে মায়েরা তাদের সন্তানদের ভালোবাসে, পশুরা নিজেদের বাচ্চাদের রক্ষা করে এবং মানুষ একে অপরের প্রতি দয়া করে। আর বাকি ৯৯ ভাগ আল্লাহ নিজের জন্য রেখেছেন, যা তিনি কিয়ামতের দিন তাঁর বান্দাদের প্রতি বর্ষণ করবেন।” —(মুসলিম, ২৭৫৩) 5️⃣ “আল্লাহ তায়ালা যখন সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টি করেন, তখন তিনি আরশের ওপরে লিখে রাখেন: ‘নিশ্চয়ই আমার দয়া আমার ক্রোধকে অতিক্রম করে।’” —(বুখারি, ৭৪০৪; মুসলিম, ২৭৫১) 6️⃣ “যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।” —(বুখারি, ৬০১৩; মুসলিম, ২৩১৯) 7️⃣ “যদি তোমরা গুনাহ না করতে, তবে আল্লাহ তোমাদের বিলুপ্ত করে এমন এক জাতিকে সৃষ্টি করতেন, যারা গুনাহ করত এবং তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইত, আর আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিতেন।” —(মুসলিম, ২৭৪৯) 8️⃣ “রমজানের শুরু রহমত, মাঝখান বরকত এবং শেষ অংশ মাগফিরাত।” —(বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান, ৩৩৩৭)