মিউজিক থেকে দূরে থাকার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপে কাজ করতে হবে, ইনশা আল্লাহ। ১. নিয়ত ও দোয়া করুন আপনার অন্তরে দৃঢ় নিয়ত করুন যে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মিউজিক ছেড়ে দিতে চান। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনার অন্তরকে শুদ্ধ করে দেন এবং এই অভ্যাস থেকে মুক্তি দেন। ২. ধাপে ধাপে ছাড়ার পরিকল্পনা করুন হঠাৎ পুরোপুরি বাদ দেওয়াটা কঠিন মনে হলে ধাপে ধাপে ছাড়ুন: মিউজিক শোনার সময় কমিয়ে আনুন। একবারে ১০০% না ছাড়তে পারলে প্রথমে হারাম লিরিক্স বা বাজনার মিউজিক বাদ দিন। ধীরে ধীরে ইসলামী নাশিদ বা কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি মনোযোগ দিন। ৩. বিকল্প তৈরি করুন মিউজিকের জায়গায় উপকারী ও হালাল জিনিস আনুন, যেমন: কুরআন তিলাওয়াত শুনুন (আবদুর রহমান সুদাইসি, মিশারি রাশিদ, আবু বকর আশ-শাত্রি ইত্যাদি কারিদের তিলাওয়াত শুনতে পারেন)। ইসলামী নাশিদ শুনুন (যেসব নাশিদে বাদ্যযন্ত্র নেই)। দাওয়াহ বা ইসলামিক আলোচনা শুনুন (যা আপনার ঈমান বাড়াবে)। ৪. যেসব পরিস্থিতিতে মিউজিক শোনেন, সেগুলো বদলান যদি একাকীত্বের কারণে শোনেন, তাহলে সময়টাকে কুরআন, বই পড়া, বা দ্বীনি ভিডিও দেখায় ব্যস্ত করুন। যদি বাসে বা রাস্তায় চলতে চলতে শুনেন, তাহলে হালাল বিকল্প রাখুন (কুরআন, লেকচার)। ৫. পরিবেশ ও সঙ্গ পরিবর্তন করুন মিউজিকপ্রিয় বন্ধুদের কম সময় দিন বা তাদের সাথে হালাল বিষয়ে আলাপ করুন। ইসলামপন্থী মানুষদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন, যারা আপনাকে সহায়তা করবে। ৬. নফস ও শয়তানের ধোঁকা বুঝুন শয়তান আপনাকে মনে করাবে, "মিউজিক ছাড়া মন ভালো থাকবে না!" কিন্তু এটা ধোঁকা। প্রকৃত শান্তি আল্লাহর যিকিরে (সুরা রাদ ১৩:২৮) পাওয়া যায়, মিউজিকে নয়। ৭. ধৈর্য ধরুন ও পরীক্ষা হিসেবে নিন আপনার অভ্যাস পরিবর্তন একটু কঠিন হতে পারে, কিন্তু মনে রাখুন—এই দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা। কিছুদিন চেষ্টা করলে দেখবেন, মিউজিক ছাড়াই ভালো লাগতে শুরু করেছে। ৮. পুনরায় পড়ে গেলে হতাশ হবেন না যদি কখনো মিউজিক শুনে ফেলেন, তাহলে হতাশ না হয়ে আবার তাওবা করুন ও নতুন উদ্যমে চেষ্টা করুন। আল্লাহ অসীম দয়ালু, তিনি আপনাকে ক্ষমা করবেন ইনশা আল্লাহ। শেষ কথা: মনে রাখুন, আল্লাহ যদি আমাদের কিছু হারাম করেন, তাহলে তার পরিবর্তে হালাল ও উত্তম কিছু রেখেছেন। মিউজিক ছাড়তে পারলেই আপনার আত্মা হালাল বিনোদনে প্রশান্তি পাবে, ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে সহায়তা করুন! আমিন।