𝑺𝒊𝒓𝒂𝒕 𝑨𝒍-𝑴𝒖𝒔𝒕𝒂𝒒𝒊𝒎
𝑺𝒊𝒓𝒂𝒕 𝑨𝒍-𝑴𝒖𝒔𝒕𝒂𝒒𝒊𝒎
February 23, 2025 at 10:20 AM
প্রচলিত রাজনীতি থেকে কেন দূরে থাকা জরুরি মনে করি, এর অন্যতম একটা কারণ হলো, তারা চাইলেই ধর্মীয় কোনাে ইস্যুতে জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। কারণ রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন দলের সাথে, সরকারের সাথে তাদের নানামুখী লিয়াঁজো থাকে। বিভিন্ন সমীকরণ থাকে। গিভ এন্ড ট্যাক এর বিভিন্ন চুক্তি থাকে। এসব ভঙ্গ করে তারা রাজপথে জোরালো ভাবে নামতে পারেন না চাইলেই। যাও মাঝেমধ্যে রাজপথে নামে কেউ কেউ, সেটাও সরকারের সাথে আগে থেকে আপোষ করেই নামতে হয়। সেটাও হয় বেশিরভাগ সময় নিরীহ তাওহীদি জনতাকে ঠান্ডা করার জন্য। . এ জন্য দেখা যায়, শাতেম ইস্যুসহ এমন বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে সবার আগে নামে নিরীহ তাওহীদি জনতাই। যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। কোনো লিয়াঁজো নেই। কোনো চুক্তি নেই সরকারের সাথে। নেই নির্বাচনে ভোট হারানোর ভয়। তাদের ভয় শুধু একটাই, এখন প্রতিবাদ না করলে তারা কেয়ামতের দিন আটকে যাবে। . আর রাজনৈতিক দলগুলোর মূলত শঙ্কা থাকে নির্বাচন নিয়ে। ধর্মীয় ইস্যুতে বেশি সরব থাকলে সরকার গঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে নির্বাচনে বাঁধা দিবে। নেতাদের ধরপাকড় করবে। তখন নির্বাচনে সমস্যা হবে। ভোটে হারতে হবে। দলের রেপুটেশন খারাপ হবে। এসব নানাবিধ চিন্তায় তারা ভোগেন। এ জন্য দেখা যায়, আজকে তারা কোনো ইস্যুতে শাতিমের বিরুদ্ধে বললেও, কালকে ঠিকই সেই শাতিমের ছেলের বিয়েতে পেটপুরে খেতে যাবেন। এসব অযুহাতেই মূলত শোনা যায় নানাবিধ হেকমতের কথা। ‘সবসময় সবকিছু বলতে নেই’ এমন উসুলের কথা। অথবা শুনতে হয় ‘জায়গা বুঝে কোপ মারতে হয়’ এমন যুক্তি। . যাও একটা সংগঠন ছিল হেফাজতে ইসলাম। সেটা তো মরে গেলে বহু আগেই। এখন হেফাজতের নামসর্বস্ব নেতারা ব্যস্ত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে। এ দেশে এখন মুসলিমদের একতাবদ্ধ কোনো প্লাটফর্ম নেই। নেই তাদের সর্বজনস্বীকৃত কোনো ধর্মীয় গুরু, যার আদেশে ঝাপিয়ে পড়বে সবাই রাজপথে, যে কোনো ইস্যুতে, যে কোনো আন্দোলনে। তাই দিনশেষে হাল ধরতে হয় মাদরাসা বা কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া যুবাদের। কিন্তু তাদেরকেও তখন বড় জায়গা থেকে ট্যাগ দেয়া হয় মানহাজী বা এ জাতীয় কোনো শব্দে। বলা হয়, এরা সময় বোঝে না, যুগ বোঝে না, পারে খালি মাইকে চিল্লাইতে। এমন নানাবিধ চিন্তায় চিন্তিত অনেকেই। কিন্তু কোনো কুল-কিনারা পাওয়া বোধহয় অসম্ভব। তানজিল আরেফিন আদনান হাফি.
❤️ 1

Comments