
𝑺𝒊𝒓𝒂𝒕 𝑨𝒍-𝑴𝒖𝒔𝒕𝒂𝒒𝒊𝒎
512 subscribers
About 𝑺𝒊𝒓𝒂𝒕 𝑨𝒍-𝑴𝒖𝒔𝒕𝒂𝒒𝒊𝒎
لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ.
Similar Channels
Swipe to see more
Posts

একবার মালেক ইবনে দিনার রহ:এর ঘরে চোর ঢুকলো। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সে নেয়ার মতো কিছুই পেল না। মালেক ইবনে দিনার রহ: তাকে বললেন, তুমিতো দুনিয়াবী কোন জিনিস পেলে না। এখন তাহলে ভেবে দেখো আখেরাতে কাজে লাগে এমন কিছু নিবে কিনা? চোর বললো,ঠিক আছে। তিনি বললেন, যাও অজু করে এসে দুই রাকাত নামাজ পড়ো। সে কথামতো এমনটিই করল। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মসজিদে চলে গেল। মালেক ইবনে দিনার রহ:কে জিজ্ঞেস করা হলো,এই লোকটি কে? তিনি বললেন,আমার ঘরে চুরি করতে এসেছিল। পরে আমিই তাকে চুরি করে নিয়েছি। সংগ্রহীত

ছোট গুনাহ! হাদীসে এসেছে, আয়শা রাযি, হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, হে আয়শা, তুমি ওই সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাক যেগুলোকে ছোট বলে ধারণা করা হবে। কেননা এ সমস্ত ছোট ছোট গুনাহের খোঁজ রাখার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছে। ( সহিহ আলজামি ; ২৬৮৬) চিন্তা করে দেখুন, হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি একটা বিড়ালকে বেঁধে রাখার কারণে জাহান্নামে চলে গেছে। একজন মুজাহিদ শুধু একটি রশি চুরি করার কারণে জাহান্নামে চলে গেছে। আরও এসেছে, একজন লোক আমল করতে করতে জান্নাতের পাড়ে চলে যায়, তারপর সে হঠাৎ একটা কথা বলে যার কারণে সে জাহান্নামের পাড়ে চলে আসে। তাহলে বলুন, কোনো গুনাহ ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ আছে? বরং একজন মুমিন সগিরাকেও কবিরা গুনাহ মনে করে। মূল : শায়েখ উমায়ের কোব্বাদি অতএব, গুনাহকে যত ছোট বলে মনে হবে, সেটা আল্লাহর কাছে ততটাই গুরুতর। আর গুনাহকে যত গুরুতর মনে হবে, সেটা আল্লাহর কাছে ততটাই তুচ্ছ। সেদিন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর গুনাহকে তুচ্ছ জ্ঞানের জন্য কত আবেদের পথ রুখে যাবে। রাব্বিগফিরলি..

কারো ব্যক্তিগত ছোটখাটো ত্রুটি দেখলে এড়িয়ে যান। মনে করুন আমাদের সামনে শুধু তার ত্রুটি আছে, শেষ রাতে সেগুলো মাফ করিয়ে নেওয়ার দৃশ্য নেই। ~বই: নির্মল জীবন

প্রচলিত রাজনীতি থেকে কেন দূরে থাকা জরুরি মনে করি, এর অন্যতম একটা কারণ হলো, তারা চাইলেই ধর্মীয় কোনাে ইস্যুতে জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। কারণ রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন দলের সাথে, সরকারের সাথে তাদের নানামুখী লিয়াঁজো থাকে। বিভিন্ন সমীকরণ থাকে। গিভ এন্ড ট্যাক এর বিভিন্ন চুক্তি থাকে। এসব ভঙ্গ করে তারা রাজপথে জোরালো ভাবে নামতে পারেন না চাইলেই। যাও মাঝেমধ্যে রাজপথে নামে কেউ কেউ, সেটাও সরকারের সাথে আগে থেকে আপোষ করেই নামতে হয়। সেটাও হয় বেশিরভাগ সময় নিরীহ তাওহীদি জনতাকে ঠান্ডা করার জন্য। . এ জন্য দেখা যায়, শাতেম ইস্যুসহ এমন বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে সবার আগে নামে নিরীহ তাওহীদি জনতাই। যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। কোনো লিয়াঁজো নেই। কোনো চুক্তি নেই সরকারের সাথে। নেই নির্বাচনে ভোট হারানোর ভয়। তাদের ভয় শুধু একটাই, এখন প্রতিবাদ না করলে তারা কেয়ামতের দিন আটকে যাবে। . আর রাজনৈতিক দলগুলোর মূলত শঙ্কা থাকে নির্বাচন নিয়ে। ধর্মীয় ইস্যুতে বেশি সরব থাকলে সরকার গঙ্গী ট্যাগ লাগিয়ে নির্বাচনে বাঁধা দিবে। নেতাদের ধরপাকড় করবে। তখন নির্বাচনে সমস্যা হবে। ভোটে হারতে হবে। দলের রেপুটেশন খারাপ হবে। এসব নানাবিধ চিন্তায় তারা ভোগেন। এ জন্য দেখা যায়, আজকে তারা কোনো ইস্যুতে শাতিমের বিরুদ্ধে বললেও, কালকে ঠিকই সেই শাতিমের ছেলের বিয়েতে পেটপুরে খেতে যাবেন। এসব অযুহাতেই মূলত শোনা যায় নানাবিধ হেকমতের কথা। ‘সবসময় সবকিছু বলতে নেই’ এমন উসুলের কথা। অথবা শুনতে হয় ‘জায়গা বুঝে কোপ মারতে হয়’ এমন যুক্তি। . যাও একটা সংগঠন ছিল হেফাজতে ইসলাম। সেটা তো মরে গেলে বহু আগেই। এখন হেফাজতের নামসর্বস্ব নেতারা ব্যস্ত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে। এ দেশে এখন মুসলিমদের একতাবদ্ধ কোনো প্লাটফর্ম নেই। নেই তাদের সর্বজনস্বীকৃত কোনো ধর্মীয় গুরু, যার আদেশে ঝাপিয়ে পড়বে সবাই রাজপথে, যে কোনো ইস্যুতে, যে কোনো আন্দোলনে। তাই দিনশেষে হাল ধরতে হয় মাদরাসা বা কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া যুবাদের। কিন্তু তাদেরকেও তখন বড় জায়গা থেকে ট্যাগ দেয়া হয় মানহাজী বা এ জাতীয় কোনো শব্দে। বলা হয়, এরা সময় বোঝে না, যুগ বোঝে না, পারে খালি মাইকে চিল্লাইতে। এমন নানাবিধ চিন্তায় চিন্তিত অনেকেই। কিন্তু কোনো কুল-কিনারা পাওয়া বোধহয় অসম্ভব। তানজিল আরেফিন আদনান হাফি.

একটা সিম্পল কথা বলি — একজন সালাফি যদি ভাবেন আপনার প্রধান শত্রু কালামিরা, যদি একজন কওমী ভাবেন আপনার প্রধান শত্রু মওদুদিবাদ, যদি একজন শিবির ভাবেন আপনার প্রধান শত্রু গঙ্গীরা, তাহলে লিখে রাখেন - সামনে আমিও মারা খাবো, আপনিও মারা খাবেন! আপনার-আমার, এদেশের মুসলিমদের ঈমান ও জীবনের জন্য প্রধান হুমকি হলো সে-কুল|রিজম। আমাদের প্রধান শত্রু হলো সে-কুল|ররা। দলভেদে শত্রুতার মাত্রায় হয়তো ভিন্নতা আসতে পারে। তাদের আধিপত্য ধ্বংস করতে না পারলে আমার আপনার, আমাদের পরিবার-প্রজন্মের ঈমান, জীবন, তাহজিব-তমদ্দুন কিছু নিয়ে টিকে থাকাই সম্ভব হবে না। © Irfan Sadik

🌼‘তিন তিনবার রাগান্বিত করার পরেও যে মানুষ তোমার বিরুদ্ধে কোনো কটু কথা বলেনি, তাকে তোমার বন্ধু বানিয়ে নাও।’ 📚— জীবন দর্পন, শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইজী আল মাদানী, পৃ. ৮০

লাখো সালাম কদমে 💝 https://youtu.be/oK7nYH2QYlg?si=sr2JEGYvRjYGpEAf

কোনো কাজের ক্ষেত্রে যদি অন্তরে রিয়ার সম্ভাবনা আসে, তবুও ওই কাজ কখনোই ছাড়বে না। বরং এরূপ ইচ্ছা করবে যে, এ কাজ তো আমি অবশ্যই করব, তবে পরবর্তীতে তাওবা করে নেব। — আশরাফ আলী থানভী (রহ.) [সূত্র : মাজালিসে হাকীমুল উম্মত, ৩৮৩]

মাথায় টুপি দিয়ে রাজনীতি অনেকেই করে। ইসলাম, ইনকিলাব আর ইকামতে দ্বীনের নামে অনেকে স্বপ্ন বেচে। দ্বীনের নামে অনেকেই ইনকাম করে। কিন্তু আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে যখন আক্রমণ করা হয়, যখন আক্ষরিক অর্থে ইসলাম এবং মুসলিম পরিচয়ের কেন্দ্রে আক্রমণ করা হয় তখন এরা গাঁ বাঁচিয়ে চলে। পারফর্মেটিভ মুসলিমনেস! দিন যায়, দ্বীন বেচে! © Asif Adnan

"দুনিয়ায় তোমার জীবনটাই বা কতটুকু? অর্ধেকটা যায় ঘুমে আর বাকিটা গাফলতিতে।" - ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) [সাইদুল খাত্বের, পৃষ্ঠা-৩৩০]