
ED-Engineer's Diary
May 12, 2025 at 04:32 PM
নির্বাচন না থাকলে ফ্রিঞ্জ এলিমেন্টরা প্রভাবশালী হয়।
জন্স হপকিন্সের প্রফেসর সৈয়দ ওয়ালি রেজা নসর অবজার্ভ করেন, আইয়ুব খান যখন ক্ষমতা দখল করে তখন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শাহবাগীরা খুশি হয়।
কারণ, রাজনীতিবিদরা জনগনের কাছে দায়বদ্ধ। তাদেরকে ভোট চাইতে হয়। নানান সম্প্রদায়ের আবদার তাদের শুনতে হয়।
কিন্তু আইয়ুব ক্ষমতা নেওয়ার পর সিভিল-মিলিটারি ব্যুরোক্রেট এবং সিভিল সোসাইটি নামক শাহবাগী মবের হাতে ক্ষমতা চলে যায়। জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা ছিল না।
এই এলিট এস্টাবলিশমেন্ট নিজের পছন্দমত রিফর্ম চাপিয়ে দিতে শুরু করে। আইয়ুব আমলে ফজলুর রহমানের সংস্কার প্রস্তাবনা এবং পারিবারিক আইনে সংশোধন সংক্রান্ত আন্দোলন-বিতর্কও ওটার সূত্র ধরেই জন্ম নেয়।
আইয়ুবের পৃষ্ঠপোষকতাতেই পূর্ব পাকিস্তানে গণবিরোধী কোলকাতাকেন্দ্রিক সংস্কৃতি চর্চা শুরু হয়। বাংলাদেশে যে শাহবাগ আমরা দেখছি তার শুরুটা ষাটের দশকে আইয়ুব শাহীর আমলে।
গণতন্ত্র না থাকলে মব রুল থাকে। কোন মব রাস্তায় মারামারি করে। আবার কোন মব কলমের খোঁচায় দেশের জনগনের আইডেন্টিটি বদলে দেয়।
নির্বাচন আসলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে না। ইনফ্যাক্ট, সিঙ্গাপুর হওয়াটা উচিতও না। সিঙ্গাপুরের মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা পরিস্থিতি ভয়াবহ রকমের খারাপ।
কিন্তু গণতন্ত্র আসলে ফ্রিঞ্জ এলিমেন্টদের খবরদারি বন্ধ হবে।
বিএনপি দুধে ধোয়া তুলসি পাতা না। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর থেকে সহস্রবার বলেছি- বিএনপির কারণেই বাংলাদেশ মিসর হবে না। মিসরে একটা বিএনপি থাক্লে আরব বসন্ত ব্যর্থ হত না।
শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিএনপি বাংলাদেশের রক্ষাকবচ। বিএনপি হয়ত ফেইল করবে, কিন্তু এই যে ফেইল করার জন্য একটা বিএনপি আছে এটাই বাংলাদেশকে ফেইল হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
বিএনপি ঠেকাও নীতিতে যেয়ে যারা গণতন্ত্রের বিরোধিতা করছেন এরা প্রত্যেকে পরে পস্তাবেন।
- Mohammad Ishrak
😂
1