
ED-Engineer's Diary
418 subscribers
About ED-Engineer's Diary
What's app Channel for Engineer's Diary
Similar Channels
Swipe to see more
Posts

বিশ্বের বড় বড় মিডিয়ায় প্রায়ই এই শিরোনামে সংবাদ আসে যে "সেমিকন্ডাক্টর চিপ নির্মাণে ভিয়েতনাম শক্তিশালী দেশ হিসাবে পরিণত হচ্ছে"! হ্যাঁ, এটি প্রমাণিত যে ভিয়েতনাম বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হওয়ার পথে দৃঢ়ভাবে এগোচ্ছে। যদিও এখনো তারা তাইওয়ান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো "শক্তিশালী কেন্দ্র" হয়ে ওঠেনি, তবুও তাদের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভিয়েতনামের সেমিকন্ডাক্টর বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ঘটে—এই সময়কালে বাজারটি গড়ে ৭.১% হারে বেড়েছে। ২০২২ সালে এর বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রবৃদ্ধি ভিয়েতনামকে বৈশ্বিক চিপ শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত করেছে। বর্তমানে দেশটিতে চিপ ডিজাইন খাতে ৪০ থেকে ৫০টির মতো কোম্পানি সক্রিয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করছে ৫,০০০-রও বেশি দক্ষ ডিজাইন প্রকৌশলী, যারা আধুনিক চিপ প্রযুক্তি উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছেন। এই শক্তিশালী মানবসম্পদ ও কারিগরি ভিত্তি ভবিষ্যতে ভিয়েতনামের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে, চিপ ডিজাইন ও উৎপাদন খাতে ভিয়েতনাম ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে, যা দেশটিকে আগামী দশকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। এই যে গার্মেন্টস শিল্প থেকে বের হয়ে হাই-টেক প্রযুক্তিতে ভিয়েতনাম পা রাখলো এইটা কি পরিকল্পনা ছাড়াই হয়েছে? ২০১০ সাল থেকে ভিয়েতনাম শিক্ষায় তাদের জিডিপির ৪% বা তার বেশি বরাদ্দ দিয়ে আসছে। সেই সময় ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি ভালো ছিল না। তবুও তারা শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল। আর আমরা এই বছর শিক্ষায় বরাদ্দ দিলাম জিডিপির ১.৭%! কোথায় আশা করেছিলাম জিডিপির ৫% সেখানে ১.৭%! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সেমিকন্ডাক্টর রিসার্চ সেন্টার আছে। অনেক বছর ধরে আছে। আমরা শিক্ষা ও গবেষণায় কোথায় আছি সেটা এই সেন্টারে একবার আসলেই বুঝতে পারবেন। আসার জন্য হাতে সময় নাই? সমস্যা নাই। এই সেন্টারের ওয়েবপেইজ একবার ঘুরে আসলেও বুঝতে পারবেন কতটা অবহেলিত আর কি তার দৈন্য দশা। আশা করা কি অন্যায় যে এই সেন্টারকেই বরং সেমিকন্ডাক্টর চিপ শিল্পে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। এই সেন্টারে থাকার কথা বাঘা বাঘা গবেষক, উন্নত অবকাঠামো, শক্তিশালী পিএইচডি ও পোস্ট-ডক প্রোগ্রাম। অথচ এর কিছুই নাই সেখানে। কেউ এইটা নিয়ে ভাবেও না। ভাববে কিভাবে? এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ব্যস্ত হয় রাজনীতি না হয় পার্ট টাইম অন্যত্র পড়ানো নিয়ে। এই দেশের সরকার শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে বিন্দু মাত্র ভাবে না। এমনকি বর্তমান ইন্টেরিম সরকারও না। এই দেশ তাহলে কিভাবে আগাবে? কিভাবে উন্নত হবে? এমনি এমনিতো আর ইউনেস্কো শিক্ষায় জিডিপির ৫.৫% এর বেশি বরাদ্দ দিতে বলে না। আর আমাদের সরকার দেয় ১.৭%! ছিঃ! - কামরুল হাসান মামুন

পরিস্থিতি কতোটা খারাপ সেইটা বুঝতে তিনটা জিনিস সম্পর্কে আমাদের আইডিয়া নেওয়া দরকার : ১। Thuh Economy ২। Underground Economy ৩। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। প্রথমে আসেন Thug Economy এর বেলায়।বাংলাদেশের ক্ষেত্রে Thug Economy হচ্ছে মূলতো ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি, অবৈধ দোকান থেকে চাদা আদায়, বালুমহল ইজারাদার, বাজার/গরুর হাট দখলেই ইকোনোমি। এখন আপনি নাক সিটকাইতে পারেন...কিন্ত এইটা কিন্ত বিশাল একটা ইকোনোমি। এবং এটা সব সময়ই পলিটিক্যাল পাওয়ার গুলার সাথে ইন্টারসেক্ট করছে। এবং এইটা টু সাম এক্সটেন্ডে দরকার ও। ধরেন বনানি ফুটপাথ। বনানিতে একটা দোকান সেটিং দিয়ে ব্যবসা চালাইতে কথার কথা ২ কোটি লাগলো। সে ওই দোকানে ব্রান্ডের কাপড় বেঁচে। এখন ওই দোকানের পাশের ফুটপাতে আরেকজন কাপড় নিয়ে বসলো। তার কোন দোকান নাই। এক কালীন খরচ নাই। কিসসু লাগতেছে না। দিনে ৫০০ না... ১৫০০ টাকা দিলেও তার লস নাই। এর বিনিময়ে সে কি চায়? শেল্টার। কার কাছ থেকে শেল্টার? কি শেল্টার? সে চায় এই ফুটপাথে ৫ টার বেশি দোকান না থাকুক। কাপড়ে দোকান একটাই থাকুক। পুলিশ ডিস্টার্ব না করুক। সিটি কর্পোরেশন তুলে না দিক। এই শেল্টারের বিপরীতে সে চাদা দেয়। আর এই শেল্টার দেয় লোকাল পলিটিক্যাল পার্টির লোকজন। এবার আসেন আন্ডার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে। আন্ডার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি কি? আন্ডার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক এক্টিভিটিজ এর মাঝে ড্রাগ স্মাগলিং, গোল্ড চোরাচালান, থাগ ইকোনোমিক এক্টিভিটি, ঘুষ-দুর্নীতি এমনকি ইনফর্মাল ইকোনোমিও এইটার সাথে জড়িত। এখন আপনি এইটাকে হেলাফেলা কইরেন না। আপনার একচুয়াল ইকোনোমির যে সাইজ...সেইটার থেকে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি ( এবং থাগ ইকোনোমি) এর সাইজ অনেক বড়। অনেক বেশি বড়। আর ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। আপনার দেশের ওয়ার্কিং এজ পপুলেশন (১৫-৬৪) যখন নন-ওয়ার্কিং পপুলেশন এর চেয়ে বড় হয়...তখন ধরা হয় আপনার দেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড উপভোগ করতেছে। এবং বাংলাদেশ এই মুহূর্ত্র ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর শেষ পর্যায়ে আছে। এবার আসি রিস্কের হিসেবে। _________ একটা দেশে যখন সিস্টেম ফেইল করে...তখন অল্টারনেটিভ সিস্টেম গড়ে উঠে। ৫ই অগাস্টের আগে বাংলাদেশে পুলিশ একটা রিপ্রেসিভ অর্গান ছিলো। এরা মানুষ খুন করতো। গুম করতো। চাঁদাবাজি করতো। বাট তারা একটা সিস্টেম গড়ে তুলছিলো। যার ফলে Thug Economy তে একটা ব্যালেন্স ছিলো। ডিসিপ্লিন ছিলো। এক জায়গা থেকে চাঁদা একজনই তুলতো। তিনজন না। সেই টাকার ভাগ প্রশাসনের সবাই পাইতো। থাগ ইকোনোমির চাদার টাকা ঘুষে কনভার্ট হয়ে আন্ডার গ্রাউন্ড ইকোনোমিতে ঢুকে যাইতো। আগে যেইটা হইতো... ৫ বছর পর পর সরকার চেঞ্জ হইতো। ফলে কারো পক্ষে খুব বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠা হইতো না। কেউ যদি শক্তিশালী হয়ে উঠতো...তাকে রাষ্ট্রই খাইয়া দিতো। কিন্ত টানা ১৭ বছর থাকার ফলে লীগ একটা ডাইনোসরে পরিণত হয়। তার পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা। এখন ৫ তারিখের আগে পুলিশ যে সিচুয়েশন কন্ট্রোল করতে পারছে...এইটার খুব অমানবিক একটা কারণ আছে। ________ র্যাব নিয়ে আমার লিখার একটা লিংক কমেন্টে শেয়ার করে দিব। সেখানে আমি দেখাইছি বিএনপি আমলে কিভাবে ক্রস ফায়ার দিয়ে নির্বিচারে সন্ত্রাসী-চাদাবাজদের মারা হইছে। এবং এদের বেশির ভাগই ছিলো বিএনপি পন্থী। কারণ আওয়ামী লীগ পন্থী যারা ছিলো...তারা ছিলো বর্ডারের ওই পারে। এখন এই ক্রসফায়ার পুলিশকে অসম্ভব ক্ষমতাশালী করে দেয়। বিএনপির সেই পাঁচ বছরে নিরীহ লোক মারা গেছে এরকম ক্রস ফায়ার মে বি হইছে তিনটা। যদি আমার ভুল না হয়। কিন্ত আওয়ামী লীগ এসে এইটাকে পলিটিক্যাল রিপ্রেসনের একটা টুল বানাইয়া ফেলে। কাতারে কাতারে বিএনপি এবং জামাত এর নেতা-কর্মীদের ক্রস ফায়ার দিতে থাকে। একই সাথে পুলিশকে ক্ষমতাশালী করা হয়। পুলিশকে বলা হয় তুমি রিস্ক নাও। আমি আছি তোমার পেছনে। _________ এখন ৫ তারিখের পর পুলিশ ফেইল করছে। আগের পোস্টে দেখাইছি সরকার কিভাবে এবং কেন পুলিশের আস্থা অর্জন করতে পারে নাই৷ পুলিশ কমিশন গঠন এবং পুলিশ সংস্কারে সরকার কোন উদ্যোগই নেয় নাই। সো পুলিশ বুঝে গেছে তার পলিটিশিয়ান আর আমলাদের আন্ডারেই থাকতে হবে। কিন্ত ভয়ের বিষয় যেটা: এর ফলে প্যারালল সিস্টেম গড়ে উঠবে। খুনের বিচার, ডাকাতির সমাধান, চুরি ঠেকানো, মেয়ে অপহরণ, রেপের বিচার এসবের বিচারের জন্য এবং প্রতিকারের জন্য পাব্লিক আর পুলিশের কাছে যাবে না। তারা এই অল্টারনেট সিস্টেম এ নক করবে। ঢাকার বাইরে ২০০১ এর আগেও অনেক জায়গায় অল্টারনেট সিস্টেম ছিলো। ইন্ডিয়াতেও ছিলো। পাকিস্তানে এখনো ফুল ফ্লেজে আছে। বিএনপি আমলে ধুমাইয়া ক্রস ফায়ার দেবার ফলে এই সিস্টেম ধ্বসে পরে। কিন্ত এখন সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে...এই সিস্টেম ব্যাক করার একটা বিশাল সম্ভবনা তৈরি হইছে। আরেকটা ইস্যু হচ্ছে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। বিপুল পরিমাণ বেকার জনগোষ্ঠী আমাদের আছে। এদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে না পারলে...এরা Thug Economy এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ইকোনোমিতে জড়াইয়া যাবে। জংগীবাদে জড়াইয়া যাবে। যার ফলে প্যারালল যে সিস্টেম গড়ে উঠবে...যে গ্যাং কালচার গড়ে উঠবে সেইটা সরকার থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। নিয়মিত ৫ বছর পর পর সরকার চেঞ্জের ফলে যেটা হইতো...এইটা হাতবদল হইতো। যার ফলে সরকারের চেয়ে কেউ শক্তিশালী কেউ হতে পারতো না। _________ হাসিনার আমলে প্রতিটা ইন্সটিটিউশন নষ্ট হইছে।।করাপ্ট হইছে। আমি তীব্র ভাবে সেনাবিরোধী লোক। সেই হাসিনা আমল থেকে আমি এদের "ক্যাশ প্রেমিক" ট্যাগ দিয়ে আসছি। কিন্ত স্যাড হইলেও সত্য যে এই মুহূর্ত এক মাত্র ফাংশনাল বডি সেনাবাহিনীই আছে। বুকে পাথর চাপা দয়ে এই সত্য আমাকে মেনে নিতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর ভিতরে গেঞ্জাম বা গোলমাল শুরু হইলেই সর্বনাশের চুড়ান্ত হয়ে যাবে। এবং অনেকেই বিশ্বাস করেন সেনাবাহিনীর ভেতরে গেঞ্জাম লাগাবার একটা সক্রিয় চেষ্টা এর মাঝেই হইছে। _________ বাংলাদেশের কিশোর গ্যাং, মব কালচার এবং চাঁদাবাজিকে তাই জাস্ট অসুখ হিসেবে দেখার সুযোগ নাই। এই গুলা সিমটম। অসুখ না। দেয়ার ইজ আ ফেয়ার এমাউন্ট অফ চান্স....যদি পুলিশকে ফুল ফর্মে ব্যাক করানো না যায়...তাইলে আমরা একটা ফেইল্ড ইকোনোমি এবং স্টেটের দিকে হাটবো। মায়ানমারের যুদ্ধ, ভারতের বিভিন্ন পার্টে উত্তেজনা...সেইটার জন্য একটা পার্ফেক্ট কন্ডিশন রেডি করে রাখছে। ইউনুস সাহেব যদি আজাইরা ঘোরাঘুরি না করে অন্তত পুলিশ বাহিনীটাকে ঠিক করার চেষ্টা করতেন...তাইলে অন্তত একটা কাজের কাজ হইতো। উনি এমন একটা সিচুয়েশন ক্রিয়েট করছেন...যেখানে মব তন্ত্র এবং থাগ কালচারের উত্থান ঘটছে। _________ এখন আপাত সমাধান হচ্ছে...আমাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ব্রুট ফোর্স ইউজ করতে হবে। এখানে কিছু মান বাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটবে। ঘটবেই। এটা এভয়েড করার সুযোগ নাই। কিন্ত এটা ছাড়া উপায় নাই। প্যারালল সিস্টেম গড়ে উঠা মানে লাতিন আমেরিকান কিংবা কিছু আফ্রিকান কান্ট্রির মতো গ্যাং কালচার। আর শ্যাডো গভ। এইটা ঠেকাইতে হবে। ( এই পোস্ট ইমিডিয়েট আগের পোস্টের সাথে মিলাইয়া পড়লে ফুল সিনারিওটা পাবেন)

মেইন পয়েন্ট: ১।মিজোরাম দিয়ে মার্সেনারিরা অবাধে মায়ানমারের ভিতরে প্রবেশ করছে। এবং বিদ্রোহী গ্রুপ গুলোকে ট্রেনিং দিচ্ছে। ২। একটা পশ্চিমা মেডিক্যাল অর্গানাইজেশন মায়ানমারে আহত বিদ্রোহীদের সেবা দিচ্ছে। ৩। দিল্লী মিজোরামে বিদেশীদের চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৪। মিজোরাম এবং মিয়ানমারের অধিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির মাঝে উল্লেখযোগ্য মিল আছে। এক্সট্রা: ক) এর আগে দুইজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পশ্চিমা নাগরিক ভারতে আটক হবার খবর পাওয়া গিয়েছিলো।অভিযোগ আছে কুকি চিন ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সাথে এদের যোগাযোগ আছে। খ) এর আগে দুই দফায় ৩০০০০+ ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে এগুলো কুকি চিন আর্মির ইউনিফর্ম বলে সন্দেহ করা হয়।।বাংলাদেশে কুকি চীন আর্মি মূলতো বোম জনগোষ্ঠীর লোকদের নিয়ে গঠিত। নারী-পুরুষ এবং শিশু মিলিয়ে যার সদস্য সংখ্যা ১১ হাজারের কাছাকাছি। তবে ভারত এবং মিয়ানমারেও কুকি-চীন আর্মি সক্রিয় আছে। #দ্যা_গ্রেট_গেম #ইতিহাস_ঘটছে

মানুষ আইন মানে দুইটা কারণে ১। সম্মান করে। ২। ভয় করে। বাংলাদেশে সম্মান করে আইন মানার চর্চা কোনদিনই ছিলো না। আপনি দেখবেন কাজিনদের মাঝে / বন্ধুদের মাঝে সেই ছেলেটাকেই চাল্লু মানা হয়...যে যে কোন জায়গায় গিয়ে আইন না মেনে / লাইন না ধরে শর্টকার্ট বের করে ফেলে। এইটা আমাদের নিজেদের মনস্তত্ব। এখন আসেন ভয়ের বিষয়ে। __________ আপনারা যদি মাঝ রাতের পর ঢাকার রাস্তায় বের হন...তাইলে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখবেন। আর্মি এবং পুলিশ যে চেকপোস্ট গুলা করে সেখানে বাইকে কিংবা গাড়িতে ইয়াং ছেলে-পেলে দেখলে সাইডে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর জিজ্ঞাসা করা হয় এতো রাত্রে বের হবার কারণ কি। উত্তর পছন্দ না হলে রুকু পজিশনে নিয়ে গিয়ে পাছায় তড়াক তড়াক করে বাড়ি মারা হয়। এই সময় পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে থাকে। উলটা দিকে মুখ করে থাকে। দেখেও না দেখার ভান করে। তারা এই পিটুনিতে যোগ ও দেয় না। এগুলা আটকাইতেও যায় না। কারণ তারা জানে এগুলা থেকে তাদের দ্বায়মুক্তি নাই৷ কিন্ত আর্মির আছে। ________ অতি সম্প্রতি ঢাকার কোন একটা থানায় সেনা হেফাজতে একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী মারা যাবার ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনায় কোন মামলা হয় নাই। এখন ওই শীর্ষ সন্ত্রাসী মারা যাবার পর এলাকা আসলেই অনেকটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। এই যে জরুরি মুহূর্তে সেনাবাহিনী নামাইয়া দেয় রাস্তায়...আর পাব্লিক সুন্দর মতো সব আইন মেনে চলে... এইটা কি সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান থেকে? না ভয় থেকে? _________ ৫ তারিখের পর মানুষের মন থেকে পুলিশের প্রতি ভয় একদম নাই হয়ে গেছে। আজকেও নিউজ দেখতেছিলাম...খুব সম্ভবত মুন্সিগঞ্জে একটা থানা ঘেরাও করছে লোকাল লোকজন। কারণ তাদের এক আত্মীয়কে পুলিশ এরেস্ট করে নিয়ে আসছে। ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় ( সব জায়গায় না) পুলিশকে মুভ করতে হইতেছে বিএনপি/জামাত/ ছাত্রদের প্রটেকশনে। পুলিশের যদি একবার মনে হয় এই জায়গায় গেলে মাইর খাবার সমূহ চান্স আছে...আপনি তারে গুলি করেও ওই জায়গায় নিতে পারবেন না। যার ফলে লোকাল পলিটিশিয়ানদের উপর পুলিশের ডিপেন্ডেন্সি জন্মাচ্ছে। ________ এখন মনে করেন কুমিল্লা - ৩ আসন। এই খানে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিন জন। গ্রুপ ছয়টা। স্বাভাবিক সময়ে যেটা হয়...পুলিশ এমপি'র/সাংসদের গ্রুপ টাকে হালকা-পাতলা পাত্তা দিলেই চলে। পুলিশ আগে যেটা করতো...এই গ্রুপিং টাকে এক্সপ্লোয়েট করতো। এক গ্রুপকে আরেক গ্রুপের বিরুদ্ধে ইউজ করে এলাকা শান্ত রাখতো। আওয়ামী লীগের আমলে পুলিশ এটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছিলো। কিন্ত এখন তো এমপি নাই। পুলিশ কার কথা শুনবে? কারে সাইজ দিবে? এজন্য পুলিশ যেটা করে সব গ্রুপের সাথে তাল মিলায়। মারামারি করতে দেয়। মারামারি হবার পর মার্ডার হইলে একটু গাঁই-গুঁই করে নড়াচড়া করে। _______ বিশ্বাস করেন....আমারে দুইডা গালি দেন...কিন্ত ইলেকশনের আগ পর্যন্ত পুলিশ এই স্টাইলেই কাজ করবে। কারণ পুলিশ সংস্কার প্রস্তাব যখন রাজনৈতিক দল গুলার কাছে আলোচনার জন্য পাঠানো হয় নাই...তখনই তারা বুঝে গেছে এই পলিটিশিয়া আর আমলাদের আন্ডারেই তাদের থাকতে হবে। পুলিশ কমিশন আর হবে না। তাই পুরা বাহিনী এখন ডিফেন্সিভ পজিশনে চলে গেছে। যেহেতু পলিটিশিয়ানদের আন্ডারেই থাকতে হবে...তাদের সাথে কাইজ্জা কইরে লাভ কি? আপনি তাদের পাছায় দুইটা গুলি করলেও তাদের নড়াইতে পারবেন না। __________ ফেইলিওরটা হচ্ছে পুলিশের আস্থা সরকার অর্জন করতে পারে নাই। কেন পারে নাই? সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সিংগাপুর চলে গেলো। এই ঘটনার চার জন পুলিশকে সাসপেন্ড করা হইলো। কোন কারণ ছাড়া৷ যেখানে আব্দুল হামিদকে যে দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে...এই ডিসিশন ছিলো ইউনুস সাবের। এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটতেছে যেখানে পুলিশ সদস্যদের বলির পাঠা বানানো হচ্ছে। ওই খানে হয়তো তার করার কিছুই ছিলো না। আবার পুলিশ দেখতেছে পুলিশ বাহিনী সংস্কার হবার কোন চান্স ও নাই। পুলিশ কমিশন গঠনের আলাপ জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের এজেন্ডাতেই নাই। _____ ব্রিগ্রেডিয়ার সাখওয়াত হোসেন যখন উলটা-পালটা বকলেন...তখন আমিও উনাকে সরায় দেবার দাবি তুলছিলাম। কিন্ত এখন মনে হচ্ছে...ব্রিগ্রেডিয়ার সাহেব অন্তত ডায়পার জাহাংগীরের চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে কাজ ভালো করতেন। জাহাংগীর জাস্ট ফেইল্ড আস মিজারেবলি। _________ এই বার একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় বলি। তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক দল গুলার অনেক কর্মীই নির্বাচন চায় না। জামাত নির্বাচন চায় না সেটা বোধগম্য। এই সময় তারা যে দাপট দেখাইতে পারতেছে জন্মের পর থেকে তারা ওই দাপ্ট দেখাইতে পারতো না। কিন্ত বিএনপি'র তৃণমূলের যে অংশ চাদাবাজির সাথে জড়িয়ে গেছে...এরাও নির্বাচন চায় না। হিসাব সোজা। ধরেন... আপনার এলাকায় তিনটা গ্রুপ চাদাবাজি করতেছে। ইলেকশন হয়ে গেলে বাকি দুই গ্রুপ অটো আউট হয়ে যাবে। তারচেয়ে এখনকার সিস্টেমেই তারা খুশি। বালুমহাল দখল, ইজারাদার... সব কিছুতেই একই সিস্টেম। আপনারা যারা ইউটোপিয়াতে থাকেন...তারা বিষয় গুলা বুঝবেন না। এই Thug Economy এর একটা আলাদা রুল আছে। অর্ডার আছে। এই জিনিসটাও স্রেফ ভেংগে পরছে। __________ আরেকটা বাস্তবতা হচ্ছে ৫ তারিখের পর থেকে দেশের অসংখ্য শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অসং্খ্য মানুষ বেকার হইছে। এই বেকার লোকজন হয় ছিনতাই করবে। চুরি করবে। অথবা রাজনৈতিক দল গুলার মাসল পাওয়ার হিসেবে কাজ করবে। এই বেকারের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়তেছে। প্রতিদিন ছাটাই চলতেছে। প্রতিদিন রাস্তায় নতুন নতুন ক্ষুধার্ত - ডেস্পারেট মানুষ যোগ হচ্ছে। _________ যতো দিন যাবে... পরিস্থিতি ততো খারাপ হবে। সামনের ইলেকশন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ইলেকশন হলেও আমি অবাক হবো না। অনেক আসনেই বিএনপি প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাতে হারবে। ধরেন...বিএনপি একজন Thug নেতাকে বাদ দিয়ে একজন ক্লিন ইমেজের নেতাকে মনোনয়ন দিলো। এখন Thug যে নেতা...সে স্বতন্ত্র দাঁড়াবে। তার টাকা আছে। তার মাসল পাওয়ার আছে। সে স্রেফ শক্তি দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে নিবে। সিল মারবে। আপনি ৬ মাস পর ইলেকশন করলে Thug নেতাদের নির্বাচিত হবার যে সম্ভবনা... ২ বছর পর করলে...সেই সম্ভবনা আরো বাড়বে। তাদের শক্তি এই টাইমে আরো বাড়বে। স্বয়ং তারেক রহমান আইসা...ইউনুস আইসা এক সাথে আইসা যদি বলে...তোমরা থামো...আপনি এই Thug দের আটকাইতে পারবেন না। _________ ১/১১ এর সময় আর্মি অনেক শক্ত ভাবে সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে পারছিলো...কারণ তখন পুলিশ ১০০% ফাংশনিং ছিলো। কিন্ত এখন সেই অবস্থা নাই। আপনি আপনার পরিচিত যে কোন পুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলেন। তারা সিম্পলি এই সরকারকে বিশ্বাস করে না। এই সরকারের জন্য রিস্ক নিলে যে এই সরকার তাকে ওন করবে...এইটা তারা বিলিভ করে না। গত ১০ মাসে ইউনুস সরকার আইন-শৃংখলা রক্ষায় শোচনীয় ভাবে ফেইল করছে। _________ তাইলে কি সিচুয়েশন এর উন্নতি করা সম্ভব না? সম্ভব। কিন্ত সেই সম্ভাব্যতা খুব কম। যেটা করতে হবে...দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সিরাজগঞ্জে যারা কাছারিবাড়িতে আক্রমণ করছিলো...যে এলাকা থেকে আইসা...ওই এলাকায় মিনিমাম ২০০০/৩০০০ পুলিশ পাঠাইতে হবে। সাপ পেটানোর মতো পিটাইতে হবে৷ মাইর অবশ্যই হাটুর নিচে দিতে হবে। যেখানেই মব হবে সেখানেই মাইরের রাস্তায় যাইতে হবে। থানা ঘেরাও করলে সেটা যেই ঘেরাও করুক...সে বিএনপি নেতা হোক/ জামাত নেতা হোক আর নাপা নেতা হোক...একদম বাইন্ধা পেটাইতে হবে। একই কাজ করতে হবে বিএনপির তৃণমূলের যে অংশটা চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে গেছে তাদের সাথেও। আমার এই কথা কারো কারো পছন্দ হবে না। কিন্ত এটা ছাড়া আর রাস্তা নাই। ___________ তবে এইটাও খুব সাময়িক সল্যুশন।। থানা থেকে যে শত শত অস্ত্র লুট হইছে... সেই অস্ত্র এখন সন্ত্রাসীদের হাতে। খুলনা এবং চিটাগং এ এই অস্ত্র ব্যবহার হইছে মার্ডারে। আর্মি উঠে গেলেই এগুলার ব্যবহার শুরু হবে। স্বাধীনতার পর থেকে এক সাথে এতো ফায়ার আর্মস কখনোই বাইরে ছিলো না। ___________ আপনি বিএনপিকে কইসা দুইটা গালি দিতে পারেন। বিএনপি গালি খাবার কাজ করছে। এইটা ট্রু। কিন্ত.... ইউনুস সরকার ফেইল করছে। সাথে আমরাও ফেইল করছি। শোচনীয় ভাবে ফেইল করছি। এটাই বাস্তব। - M Hassan

জীবনের একটা বড় সময় আমি অজ্ঞেয়বাদী ছিলাম।অজ্ঞেয়বাদীতা আর নাস্তিকতার মাঝে পার্থক্য আছে। যাই হোক কিছু স্পেসিফিক ঘটনার কারণে আমি অজ্ঞেয়বাদী হয়ে যাই। ভার্সিটির খুব ক্লোজ সার্কেলে আমাকে "ছায়া নাস্তিক" ডাকা হতো। তো সেই অবস্থার পরিবর্তন আসছে। প্র্যাক্টিসিং মুসলিম না হইলেও আমি আস্তিক। ওই সময় ধর্মের বিভিন্ন ইলিমেন্ট নিয়ে আমাকে প্রচুর ঘাটতে হইছে। কম্প্যারেটিভ রিলিজিউন নিয়ে পড়াশুনা করতে হইছে। আমার ধর্ম বিশ্বাস তাই অবশ্যই অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা। কিন্ত আমারটা সঠিক এটা আমি কখনোই ক্লেইম করবো না। __________ শাকিল চিত্রকর নামে একজন মানুষ সুইসাইড করেছেন। এক বছর আগের এক কমেন্টের উপর ভিত্তি করে তাকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছিলো। একবছর আগের ওই কমেন্টটা অটো কারেকশনের কারণে মাহমুদ এর জায়গায় মুহাম্মদ হয়ে গিয়েছিলো বলে সে দাবি করে আসছিলো। তার ফেসবুক প্রফাইলে দেখলাম সে প্রতিনিয়ত মাফ চাচ্ছে। সাহায্য চাচ্ছে। ভুল স্বীকার ও করে নিচ্ছে এক পর্যায়ে। এক পর্যায়ে সে জানাচ্ছে সে তওবা করেছে। সে রিকুয়েস্ট করতেছে তাকে শেষ একটা সুযোগ দেবার জন্য। কিন্ত তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয় নাই। তার বাড়িতে থ্রেট দেওয়া হইছে। তাকে ফেসবুকে থ্রেট দেওয়া হইছে। আজকে সকালে তাকে এবং তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার কথা ছিলো। সুইসাইড করার আগে শাকিল চিত্রকর এক পোস্টে দাবি করে গেছেন: আমার আল্লাহ জানে আর আমি জানি যে আমি নাস্তিক না। __________ শেখ হাসিনার আমলে সবচেয়ে বড় মজলুমদের মাঝে একটা গ্রুপ ছিলো রাইট এবং ফার রাইটরা। আমি শুরু থেকে শাপলা চত্তর ম্যাসাকারের বিরুদ্ধে ছিলাম। কারণ দ্যাট ওয়াজ দ্যা রাইট থিং টু ডু। ডানপন্থীদের সাথে আমার রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্ত সেটা কাউকে হত্যা করার লাইসেন্স দেয় না। কিন্ত হাসিনার পর ডানপন্থীরা যা শুরু করেছেন... তার ফলে অনেকেই তাদের প্রতি সিম্প্যাথি হারাবেন। ________ বাংলাদেশের রাইট এবং ফার রাইট গোষ্ঠী আবার ও ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে ইউনূসের সরকার দ্বারা। নাগরিক পার্টি দ্বারা। আচমকা ওয়াজ মাহফিল ব্যবহৃত হচ্ছে ইউনূসের মার্কেটিং এর জন্য। ওয়াজের বক্তারা দাবি করছেন ইউনূসকে আল্লাহতালা নবী-রাসুলের সিলেকশন প্রসিডিউর এর মাঝ দিয়ে প্রেরণ করেছেন। ইউনূসের জন্য ফেরেশতারা কাজ করছে। মসজিদে নববীতে শুয়ে ফেরেশতারা ইউনূসকে স্বপ্ন দেখছেন। এর বিনিময়ে ফার রাইটরা মব সৃষ্টি করছে। থানা ঘেরাও করে নারী নিপীড়নকারীদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের হুজুরদের একটা অংশ পর্যটকদের পিটুনি দিচ্ছেন। হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। সিনেমা হল বন্ধ করে দেবার হুমকি দিচ্ছেন। মেয়েদের ফুটবল খেলা বন্ধ করে দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতে তাদের দিকে যে নিপীড়ন ধেয়ে আসছে...সেটার পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করছেন। পরের শাপলা চত্তরেও তাদের পক্ষে তারা আর্বান মিডেল ক্লাসকে পাবেন না। ঠিক আগের শাপলা চত্তরে যেমন পাননি। তবে সেরকম কিছু হলে আর কেউ না থাকলেও আমি রাইট এবং ফার রাইটদের পক্ষে থাকবো। এখন যেমন লেফট এবং ফার লেফট দের হত্যাযোগ্য করে তোলার বিপক্ষে আছি। কজ...দ্যাট ওয়াজ দ্যা রাইট থিং টু ডু। _________ আর্বান মিডেল ক্লাসের মোহ খুব দ্রুত ভাংতে শুরু করেছে। কিন্ত এই পর্যায়ে এসে আমার মনে হচ্ছে ইউনূস আসলেও দুই-তিন বছর ক্ষমতায় থাকুক। রাইট এবং ফার রাইট উইং শক্তিশালী হোক। বাংলাদেশের উগ্র বাম/সেক্যুলার নামের উগ্র বাংগালি জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর শাসন মানুষ দেখেছে। এবার উগ্র ডানের শাসন ও দেখুক। ইউনূস ফেটিশ আরো কিছু দিন চলুক। একটু খেয়াল করলেই আর্বান মিডেল ক্লাস দেখবে তারেক রহমান এর সাথে মিটিং এর আগেই গতকাল থেকে কনক সারোয়ার, ইলিয়াস সহ অন্যরা ইউনূস এর সমলোচনা শুরু করেছে। এটা হচ্ছে ইউনূসের জন্য এক ধরণের সতর্কবার্তা। তারেক রহমান এবং ইউনূসের বোঝাপড়া হয়ে গেলে... এই সমলোচনা আরো তীব্র হবে। মুসলিমদের মাসীহা ইউনূস আচমকা সুদখোর হয়ে যাবেন। এটাই রাজনীতি। আমাকে দলান্ধ বলে গালি দিতে পারেন। কিন্ত আপনাদের চোখ তো খোলা। আপনারা দেখুন। আমি দলান্ধ। কিন্ত আপনারা তো অন্ধ না। _________ এই পোস্ট যখন শেষ করছি....তখন ও মনের মাঝে একটা তীব্র আকুতি কাজ করছে। কেউ বলুক : শাকিল চিত্রকর সুইসাইড করেনি। পোস্ট দেবার পর তার আসেপাশের মানুষ তাকে উদ্ধার করেছে। পোস্ট শেষ করার আগে আবার মনে করিয়ে দেই: মানুষটা বার বার মাফ চাচ্ছিলো। সাহায্য চাচ্ছিলো। তার শেষ পোস্ট ছিলো : আমার আল্লাহ আর আমি জানি যে আমি নাস্তিক না। নাস্তিক হলেও তাকে মারার কোন অধিকার আপনার/আপনাদের নাই। কিন্ত মৃত্যুর আগে সে কেন মিথ্যা বলবে? তার পাবার আর কি আছে? ________ এটা আত্মহত্যা না। হত্যাকান্ড। আল্লাহ অবশ্যই এই হত্যাকান্ডের বিচার করবেন। - M Hassan

বাংলাদেশের একমাত্র রিয়েল সেলিব্রেটি, যিনি কোনো ক্যাচালের মধ্যে নেই, বিতর্কের মধ্যে নেই। যিনি কেবলই নিজের মতো করে থাকেন। কারও ধার ধারেন না। শুধুমাত্র নিজের ভালোলাগাটা নিয়ে পড়ে থাকেন। নিউইয়র্কে প্রোগ্রাম করতে গিয়ে এনটিভি বা কোনো এক চ্যানেলে লাইভে এসেছিলেন তিনি। সরাসরি দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। একজন দর্শক ফোনে প্রশ্ন করলেন- জেমস, আপনি অনেক ভালো গান গেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনার কানে দুল কেন, ফুটো করা কেন? এসব তো ধর্মে নিষেধ। জেমস এই প্রশ্ন শুনেই বললেন- দূর বাল, এই কল কেটে দেন! একবার মেরিল প্রথম আলো বা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে মনোনিত হলেন তিনি- 'তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম' এই গানের জন্য। সেবার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে নির্বাচিতদের পুরষ্কার দিচ্ছিলেন। সবাই পুরষ্কার নেবার সময় শেখ হাসিনাকে তেলের খনি বর্ষণ করছিলেন, যেন এই পুরষ্কারের জন্য উক্ত শিল্পীর নিজের মেধা, শ্রমের কোনো মূল্য নেই, এসব শেখ হাসিনার দয়া, দান! দেখতে আমারই লজ্জা লাগছিল, একজন শিল্পী এত ছোট কিভাবে হতে পারেন! জেমসের ডাক পড়ল, তিনি এলেন। শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করলেন। উপস্থাপিকা কিছু বলতে বললেন। জেমস বললেন- সিনেমায় তেমন একটা গান গাওয়া হয় না। এবার গেলাম। পুরষ্কার পেলাম, ভালো লাগছে। ব্যাস, শেষ। এরপর মঞ্চ থেকে চলে এলেন তিনি। নিজের মেধার, শ্রম, একাগ্রতার ওপর অগাধ বিশ্বাস থাকলে কাউকে তেল মারতে হয় না, তোয়াজ করতে হয় না। কারও মন যুগিয়ে চলতে হয় না। জেমস একজন আন্তর্জাতিক মানের রকস্টার। বাংলা ভাষাভাষী হিসেবে আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা জেমসের মতো একজনকে পেয়েছি, জেমসের যুগে জন্মেছি। আপনি আরও বহুদিন বেঁচে থাকুন, ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস।

'নতুন নোট নিচ্ছে না এটিএম বুথ' শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মুদ্রিত টাকা কেনো বুথগুলো গ্রহণ করছে না সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দৈনিক ইত্তেফাক বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো একটা দৈনিক। কেন নতুন নোট এটিএম বুথ নিচ্ছেনা সেজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত কিংবা গুগুল করলেই পেয়ে যেত। নতুন নোট এটিএম রিড করবেনা এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের সব দেশেই এমন হয়। কারণ, এটিএমে যে নোটগুলোর কমান্ড দেওয়া থাকে সে নোটগুলোই রিড করবে। নতুন নোট বাজারে এসেছে। ব্যাংকগুলো তাঁদের এটিএমে নতুন নোটের কনফিগারেশন করবে এরপর এটিএমগুলো নতুন নোট রিড় করতে পারবে। এই সামান্য কমনসেন্স যদি সাংবাদিকদের না থাকে কেমনে হবে! - Abdullah Al Mamun

ব্যাংকিং খাত নিয়ে কাজ হচ্ছে। সর্বোচ্চ এফোর্ট দেওয়া হচ্ছে। নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্ত ব্যাংকিং খাতের জন্য নেওয়া এসব উদ্যোগ কতো টুকু কাজ করবে তা বলা যাচ্ছে না। হাসিনা যাবার আগে ব্যাংকিং খাত রীতিমতো ছোবড়া বানিয়ে দিয়ে গেছে। আপাতত জাস্ট ইমিডিয়েট পতন ঠেকানো গেছে৷ কিন্ত রিকভারি বহু দূর। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি হাসিনা ২০২৫ সার্ভাইভ করতে পারতো না। ইকোনোমি ওকে ফেলে দিতো। এখনো ইকোনোমির অবস্থা যথেষ্ট খারাপ। এই খারাপের ইম্পাক্ট সামনে টের পাবেন। _______ ক্যারিয়ারের লম্বা একটা সময় ব্যাংকিং সেক্টরে কাজ করেছি। সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে শুরু করে প্রাইভেট ব্যাংক...সব জায়গাতেই বন্ধু-বান্ধব আছে। সবার চোখে মুখে দুশ্চিন্তা দেখি। সবার চোখে উদ্বেগ। আলাপ করতে গেলে হতাশা। এস আলম গ্রুপের ব্যাংক গুলোকে কোন ভাবে টেকানো যায় কি না সেই চেষ্টা সবার। শেষ পর্যন্ত কি হবে জানি না। __________ বাংলাদেশের শিক্ষিত ছেলেদের কর্মসংস্থানের একটা বড় সোর্স ছিলো ব্যাংক।প্রাইভেট ব্যাংক গুলো প্রতিবছরই প্রবেশনারি অফিসার বা ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসারে প্রচুর শিক্ষিত গ্রাজুয়েট নিতো। সংখ্যাটা কমে আসছে। অনেক ব্যাংকে ইনক্রিমেন্ট নাই। শিক্ষিত মিডেল ক্লাসের একটা বড় অংশ তো এরাই। ________ দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেয়ার বাজার নিয়ে সেরকম কোন উদ্যোগ নেই। পুজি বাজারে টানা দড়পতন ঘটছে। পৃথিবীর উন্নত দেশে ব্যবসার পুজি আসে বন্ড/শেয়ার থেকে। আমাদের এখানে আসে লোন থেকে। শেয়ার মার্কেট এমনিতেই দুর্বল। কিন্ত এখন এক বারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজ ১৫ই মে শেয়ার নিউজ রিপোর্ট করেছে: "শেয়ারবাজারে মহাদুর্যোগ, পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সূচক" __________ গত মাস দেড়েক ধরে প্রতিদিনই শেয়ার ব্যবসায়ীরা কান্না-কাটি করছেন।বিক্ষোভ করছেন। কিন্ত জানি না কেন...তাদের কান্না কোন মিডিয়াতে লাইভ সম্প্রচার হয়নি। ________ অর্থনীতির প্রতিটা ইন্ডিকেটর সিগন্যাল দিচ্ছে...অবস্থা ভালো না। আমদানি বন্ধ করে রিজার্ভ ধরে রাখছি.. এখন চাপ পরছে উৎপাদন কার্যে। দেশীয় উৎপাদন বিশাল ধাক্কা খেয়েছে। দেশের ইকোনোমি রিড করার ভালো একটা ইন্ডিকেটর হচ্ছে ঋণ প্রবৃদ্ধি। মানে ব্যবসায়ীরা তো ঋণ নিয়েই ব্যবসা করে। গত ২১ বছরের মাঝে ঋণ প্রবৃদ্ধি মানে ঋণের গ্রোথ সবচেয়ে কম। মানে লোকাল ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগ করছে না। কম বিনিয়োগ মানে কম ব্যবসা। কম ব্যবসা মানে কম কর্মসংস্থান। এই লাখ লাখ বেকার তরুণকে নিয়ে আমরা কোথায় যাবো? _________ দেশী ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করছে না। বিদেশী ব্যবসায়ীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশ্বাস করছে না। নির্বাচন ছাড়া বিনিয়োগ আসবে না। এই কথাটা বললেই আমরা হয়ে যাই ১৭ বছরের ক্ষুধার্ত দলের দালাল। অথচ অর্থনীতির প্রতিটা ইন্ডিকেটর নেগেটিভ। _________ সেই ২০১৮ সাল থেকে মানি লন্ডারিং নিয়ে কথা বলে আসছি। তখন যখন বলতাম ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা ভালো না...যেকোন সময় ধ্বসে পরবে...বন্ধু-বান্ধব হাসতো। হাসি-ঠাট্টা করতো। ফেসবুকে পোস্ট দিলে বড় বড় তালেবররা এংরেজি শব্দে মাইক্রো-ম্যাক্রো ইকোনিমক্স এর টার্ম গুলিয়ে বুঝাতে বসতো...কেন ভয়ের কোন কারণ নেই। কেন এসব প্রপাগান্ডা। কেন হাসিনামিক্স টিকে যাবে। ______ পাগল পাগল লাগতো। চোখের সামনে মাতৃভূমি লুট হতে দেখছি...সাবধান করতেছি...কেউ শুনতেছে না। সেই সাবধান বাণী মিলে গেছে। সেই সময় যে বন্ধুরা হাসি-ঠাট্টা করতো...তারা এখন আর হাসে না। যদিও নিজেরা যে ভুল ছিলো সেটাও মানতে চায় না। আমার হিসাব মিলে গেছে। প্রেডিকশন মিলে গেছে। কিন্ত...বিশ্বাস করেন... এটা মিলে না গেলে আমার চেয়ে খুশি বোধহয় কেউ হতো না। _________ সামনের জন্য বলে যাই: সামনের সময়টা কঠিন।প্রস্তুতি নেওয়া ভালো। অর্থনীতির অবস্থা জঘন্য। যতো সময় যাবে..ততো টের পাবেন। ছাটাই হতে পারে অনেক প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠান গুলোকেও তো সার্ভাইভ করতে হবে। তাই না। আর স্বাধীনতা? সার্বভৌমত্ব? জাতীর পতাকা খামছে ধরেছে নতুন শকুন। ________ জানি। হাসবেন। কিন্ত এটাও মিলে যাবে। না মিললে আমার চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ হবে না। কিন্ত প্রেডিক্ট করছি আর মিলে নাই...এরকম ঘটনা খুব বেশি নাই। _ M Hassan