*প্রকৃতিতে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলেই কি সত্যিই স্ট্রেস কমে যায়?”* *সবুজের জাদু –* ‘Biophilia’ মানুষের মস্তিষ্ক প্রাকৃতির রং-গন্ধ-শব্দের সঙ্গে স্থায়ী এক সংযোগ নিয়ে বিবর্তিত হয়েছে। এই সহজাত টানকে বলে biophilia। গাছপালা ও প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শে মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা কম সক্রিয় হয়—ফলে উদ্বেগ ও “fight-or-flight” সাড়া দ্রুত নেমে আসে। *কর্টিসল মাত্রা হ্রাস* জাপানের ‘শিনরিন-ইয়োকু’ (forest-bathing) বিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে ১৫–২০ মিনিট নীরব বন-পথে হাঁটার পর রক্তে কর্টিসল (স্ট্রেস-হরমোন) প্রায় -১২% পর্যন্ত কমে। এক্ষেত্রে মোবাইল-ডেটা বন্ধ রাখা ফল বাড়ায়, কারণ ডিজিটাল বিভ্রান্তি ছাঁটাই হয়। *রক্তচাপ ও হৃদ্‌কম্প ছন্দ* প্রাকৃতিক পরিবেশে ধীর গতিতে হাঁটার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস গভীর হয়, ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়। এতে সিম্প্যাথেটিক (উত্তেজনা) প্রবাহ কমে, প্যারাসিম্প্যাথেটিক (শিথিলতা) প্রবাহ বাড়ে—ফলে হার্ট রেট ও রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমায় নেমে আসে। *মনোযোগের ব্যাটারি রিচার্জ* শহুরে জীবনে ‘directed attention’ ক্ষয় হয় (যে-টা নিরন্তর স্ক্রিন, সিগনাল, হর্ণ-এ ব্যয় হয়)। প্রকৃতি সেই মনোযোগ ব্যাটারি “রিচার্জ” করে—মন-খারাপ, decision fatigue, এমনকি হালকা ডিপ্রেশনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। *উড়ে আসে সৃজনশীল ভাবনা* মাত্র ১০-১৫ মিনিট সবুজে থাকলে alpha wave বেড়ে মগজে সৃজনশীল সংকেত (insight) উজ্জ্বল হয়। অনেকে হাঁটা শেষেই নতুন আইডিয়া বা সমস্যার সমাধান খুঁজে পান। *দ্রুত টিপস 📝* সকাল বা বিকেলের নরম আলো বেছে নাও—ইহাতে চোখ ও ত্বক উভয়েই আরাম পায়। *ইয়ারফোন খুলে রাখো;* পাখির ডাক-পাতার মর্মর ধ্বনি প্রাকৃতিক সাউন্ডথেরাপি। ১৫ মিনিট না পারলে ৫-৭ মিনিটও লাভজনক—Consistency > Duration. কাছেই পার্ক না থাকলে ছাদ-বাগান, লেকসাইড, এমনকি বড় গাছ-ঘেরা রাস্তার ফুটপাতও কাজে দেয়। বন্ধুরা, স্ট্রেস-মুক্ত মস্তিষ্ক পেতে আজই কিছুটা সবুজ সময় বরাদ্দ করো—দেহ-মন দুটোই তোমাকে ধন্যবাদ দেবে! 🌿💚 _আপনি যদি এখনো পর্যন্ত এই চ্যানেল এ ফলো না করে থাকেন তাহলে উপরে ফলো বাটনে ক্লিক করে দিন_