
Suprokash
June 9, 2025 at 02:33 PM
সঙ্গের ছবিটি রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজের পাশে একটি চায়ের দোকানের। লোকমুখে 'বেণুদার চায়ের দোকান'। বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র-শিক্ষকের অকাদেমিক আলোচনা কিংবা দুই বন্ধুর নিতান্ত অকেজো আড্ডার সাক্ষী চায়ের কাপগুলো, ঘুগনি-আলুরদমের ডেকচিগুলো।
কিংবা সামন্ততান্ত্রিক আভিজাত্যের ছোঁয়া লেগে-থাকা অখ্যাত শহরে এক সত্তরের দশকের বালিকার কাছে কেমন ছিল সে-সময়ের পরিবর্তনমান পথ-খাদ্যের অভ্যর্থনা? পথের খাওয়ার মধ্যস্থতায় আমরা দেখতে চাই সে সময়টিকে, সে-সময়ের বিভিন্ন অর্থনৈতিক শ্রেণিকেও, সেদিনের বালিকার মনটিকেও, এমনকী সে-সময়ের গার্হস্থ্য-জীবনটিকেও। সে-সময়ের চাপিয়ে দেওয়া পিতৃতান্ত্রিক সমাজ-জীবনের রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা বালিকার কান্না, ভেতরে ভেতরে তৈরি হওয়া প্রতিরোধের বীজটিকেও আমরা খুঁজে পেতে চেয়েছি। এবং সেটা পথঘাটের খাওয়া-দাওয়ার মধ্যস্থতাতেই।
আসলে আমরা শুধু খাওয়া-দাওয়ার বৈচিত্র্যকে ধরতে চাইনি, ধরতে চেয়েছি সময়-সমাজ-ইতিহাস-ভূগোল— সবকিছুকেই। মানুষের সাথে জড়িয়ে থাকা পাড়া-বেপাড়ার কথাকে। ফেলে আসা সময়কে, সমাজকে, অর্থনীতিকে এবং বিশ্বায়ন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে লেগে থাকা সমাজ-সংসার ও বাঙালির মন-রুচি-অভিমানের ইতিহাস-ভূগোলকে।
আমরা বিভিন্ন বিষয়কে ভরকেন্দ্রে রেখে দেখতে চাই বাঙালিকে— এক অখণ্ড সাংস্কৃতিক বোধকে। আমাদের এই ধারাবাহিক চেষ্টারই অঙ্গ — ‘বাঙালির পথঘাটের খাওয়া-দাওয়া’।
বাঙালির পথঘাটের খাওয়া-দাওয়া
সম্পাদনা : অর্দ্ধেন্দুশেখর গোস্বামী
প্রচ্ছদ : শোভন সরকার
মুদ্রিত মূল্য : ৫৯০ টাকা
সুপ্রকাশ

❤️
1