
Dr. Rezaul Karim
June 14, 2025 at 01:39 PM
*মোহাম্মদপুরে পথচারীদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ*
সংস্কার ও বিচার ছাড়া কোন নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না
_-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।_
সারাদেশের মত রাজধানীতেও তীব্র দাবদাহে সৃষ্ট জনদুর্ভোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে সমাজের আত্মসচেতন ও বিত্তবানদের আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় মোহাম্মদপুর পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণার্ত পথচারী ও শ্রমিকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি আনিসুর রহমানসহ থানা এবং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল রেজাউল করিম বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াত সব সময়ই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছে। সর্বোপরি দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও আমরা সাধারণ মানুষের সাথে একাত্ম থেকেছি। জামায়াতের সে কল্যাণকামীতার ধারাবাহিকতায় আজ আমরা তৃষ্ণার্ত সাধারণ মানুষ ও শ্রমিকদের জন্য সুপেয় পানীয় জল বিতরণ করছি। এতে কেউ ন্যূনতম উপকৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো। তিনি তীব্র খরায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতি এক মহা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতনের পর রাষ্ট্র মেরামত ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে নস্যাৎ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সরকারকে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে নানাবিধ বাধা-প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের মনে রাখা উচিত যে, শুধুমাত্র ক্ষমতার হাত বদলের জন্যই আগস্ট বিপ্লব হয়নি বরং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ছিলো আগস্ট বিপ্লবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাই নির্বাচনের আগের রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এবং জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হওয়ার দরকার। অন্যথায় দেশে কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
