
Jamaat Dhaka City North
May 30, 2025 at 11:07 AM
*আদাবরে এতিমদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ*
সংস্কার, বিচার ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন
-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এতিমরা অসহায় ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির অংশ; তাই এতিমদের কল্যাণে ও দুর্দশা লাগবে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, দাতা সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠার সহ সমাজের বিত্তবান মানুষদের মুক্ত হস্তে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আদাবর থানা জামায়াত আয়োজিত এতিমদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আল আমীন সবুজের সভাপতিত্বে ও সেক্রটারি আশরাফুজ্জামান মিঠুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এতিমদের প্রতি সদাচারণ ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কালামে হাকীমে এতিমের অধিকার, এতিমের প্রতি দয়া-অনুগ্রহের মর্যাদা ও পুরস্কারের কথা বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। কালামে পাকের সূরা বাকারাহর ২২০ নং আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমার কাছে তারা জিজ্ঞেস করে, এতিম সংক্রান্ত বিধান। বলে দাও, তাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে গুছিয়ে দেওয়া উত্তম। আর যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের সাথে মিশিয়ে নাও, তাহলে মনে করবে তারা তোমাদের ভাই। বস্তুত অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে আল্লাহ জানেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তোমাদের ওপর জটিলতা আরোপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, মহাপ্রাজ্ঞ।’ এতিমের সম্পদ সংরক্ষণ ও প্রত্যার্পণ সম্পর্কে সূরা আন নিসার ২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এতিমদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। মন্দ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করো না। আর তাদের ধন-সম্পদ নিজেদের ধন-সম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করে তা গ্রাস করো না। নিশ্চয় এটি বড়ই মন্দ কাজ’। তিনি এতিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনের সকল স্তরের জনশক্তিকে সামর্থ অনুযায়ি কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ইসলাম একটি কালজয়ী ও শাস্বত জীবনাদর্শ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন অন্য সব দ্বীনের ওপর দ্বীনে হক্ব তথা ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য । মূলত, জামায়াতের ইসলামী এদেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার করে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে চায়। আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে সততা, যোগ্যতা ও তাক্বওয়া অনুযায়ি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব প্রদান করা হবে। সেখানে কোন ধর্ম, মত ও পথকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না বরং সকল ক্ষেত্রে সততা, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতাই হবে যোগ্যতার মানদণ্ড। জামায়াত সকল শ্রেণির নাগরিকের মধ্যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও পারস্পারিক আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, পতিত বাকশালী ও ফ্যাসীবাদীরা রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই বিদ্যমান অবস্থায় দেশে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভোটাররা যাতে পছন্দের প্রার্থী নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা জরুরি। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন করে মাথাচাঁড়া দিতে পারে।

❤️
❤
13