
Marxbadi Path
1.6K subscribers
About Marxbadi Path
The theoretical quarterly of Communist Party of India (Marxist) West Bengal.
Similar Channels
Swipe to see more
Posts

"রুমির কর্মচঞ্চল, পৌরুষপূর্ণ ‘আমি’-র সঙ্গে নজরুল শোষণ-বিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আধুনিক মনকে যুক্ত করেছেন। এইখানেই ‘বিদ্রোহী’-র বিশেষত্ব। আবার সাম্যবাদীর বিখ্যাত চরণ “এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির কাবা নাই” (তুলনীয় রুমির: “আজ হাজারাঁ কা’বা ইয়াক দিল বেহতর আস্ত”) এবং এই সুরের আরো সব চরণ ওমর খৈয়াম এবং রুমির কাব্য থেকেই নজরুল গ্রহণ করেছেন। আর এঁদের কাছ থেকেই তিনি তথাকথিত শাস্ত্রের বিরোধিতার ভাবটিও গ্রহণ করেছেন। অনেকেই রুমির বিখ্যাত কথা স্মরণ করতে পারেন, আমি কোরান থেকে মজ্জা গ্রহণ করেছি আর এর অস্থিগুলি চতুষ্পদ জন্তুর দিকে ছুঁড়ে দিয়েছি। আর আচার-সর্বস্বতার প্রতি হাফেজের বিদ্রোহ তো প্রবাদবাক্যের মতো।" লিখছেন, আবুল হাসনাত। 🔗 পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/Kazi-Nazrul-Islam-Meeting-of-two-seas/608 মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।


"দর্শনগতভাবে শিক্ষার মূল্য যে স্রেফ কোনও উপকরণের মূল্যের সমান নয়, বা কেবল রোজগারের প্রাগায়োজন নয়, শিক্ষার অন্তর্নিহিত মূল্য যে আসলে জীবনদৃষ্টি তৈরিতে সহায়ক – এ কেবল শিক্ষাবিদ বা শিক্ষা দর্শন নিয়ে চর্চায় থাকা বিদগ্ধ মানুষেরই দাবি নয়। এই দাবি, এই উপলব্ধি, বোধ করি, সবচেয়ে জৈবিক হয়ে ওঠে অক্ষরজ্ঞানবঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষের সংলাপে। সেজন্যই পেটের দায়ের বাস্তবতার সীমা পেরিয়েও তাঁরা যেতে চান সাক্ষরতা কেন্দ্রে।" লিখছেন, উর্বা চৌধুরী। 🔗 প্রথম পর্ব পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/Women-in-Dialogue-Part-I/609 (আগামীকাল দ্বিতীয় পর্ব) মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।


"গরীব ঘরে মেয়েদের রোজগার করতে হয়। আমার ঘরের গার্জেনটা তো ঠিক নয়, নেশাভাং করে! আমি তো একাই রোজগার করে দুই ছেলে মানুষ করছি।” সাঁইথিয়া ব্লকের আদিবাসী গ্রামের ৪০ বছর বয়সী মণিকা মহলির কথা। মণিকা তাঁর প্রাথমিক পেশায় খেতমজুর আর গৌণ পেশা বাবদ তিনি ঝুড়ি বোনেন। এই গৌণ পেশা তাঁর জনগোষ্ঠীর আদি পেশা, যদিও পড়তি। সাধারণভাবে জীবিকার কথা হচ্ছিল না, কথা হচ্ছিল “মেয়েদের কি রোজগার করা দরকার, না কি না করলেও চলে?” বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে হওয়া পাইলট সমীক্ষার ভিত্তি যেহেতু নারীদের জীবনে সাক্ষরতা, সচেতনতা ও সক্ষমতার তাৎপর্যের নানা দিক, সেহেতু প্রশ্নসূচিতে নারীদের উপার্জন ও আর্থিক স্বাবলম্বিতার প্রসঙ্গ হয়ে ওঠে সংলাপের এক অপরিহার্য উপাদান।" লিখছেন, উর্বা চৌধুরী। 🔗 দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/Women-in-Dialogue-Part-II/610 (আগামীকাল শেষ পর্ব) মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।


"দীর্ঘমেয়াদি এই সংগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হল ইউনিয়নের স্বীকৃতি। যদিও, চুক্তিতে উল্লেখযোগ্য মজুরি বৃদ্ধির কথাও আছে। তিন বছরে ১৮,০০০ টাকা থেকে ২৩,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি। সঙ্গে বিশেষ পদোন্নতি, বাড়তি ইনসেনটিভ, সবেতন ছুটির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অতিরিক্ত সুবিধা। তবে, মূল দাবি ছিল ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার। এবং কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে যৌথ দরকষাকষির স্বীকৃত প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এবং এই দাবি বর্তমানে সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।" লিখছেন, আর কারুমালাইয়ান। 🔗 পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/The-victory-of-the-Samsung-workers-After-the-endless-struggle/612 মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।


"শিক্ষা ও হিংসার শিকার হওয়ার মধ্যে কার্যকারণের সম্পর্ক স্থাপন করে একশো শতাংশ নিশ্চিত দাবি করা যায় না ঠিকই, তবে নিরক্ষরতা থেকে শুরু করে বারো বছরের বেশি সময়ের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকার ব্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে ২২ শতাংশ বিন্দুর তফাৎ হয়ে গেলে, শিক্ষাকে গৃহহিংসার একটি সম্ভাব্য রোধক হিসাবে বিচার করা যায় কি না তা ভেবে দেখা দরকার। বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতি সাক্ষরতা-শিক্ষা, সচেতনতা ও সক্ষমতার কথা উচ্চারণ করাকালীন, সক্ষম, সচেতন জীবনযাপনে, শিক্ষার একটি গুরুতর প্রভাবক হয়ে উঠতে পারার দিকটির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়।" লিখছেন, উর্বা চৌধুরী। 🔗 তৃতীয় ও শেষ পর্ব পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/Women-in-Dialogue-Part-III/611 মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।


"এই পরিবেশে থাকতে গিয়ে আমার যেন দমবন্ধ হয়ে আসত ক্রমে। তবে একটা ব্যাপার ছিল নিশ্চিত: আমি স্থির বুঝেছি যে আমি এক জঘন্য আবহে আছি। আমি সবসময় কীকরে এই অন্ধকার কাটিয়ে বেরিয়ে আসা যায় তার জন্যে ছটফট করতাম। কোনও মানুষ যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে জীবন কাটাচ্ছে এটা জেনে যে সে মহাপাপী, তখন সে-পাপের শাস্তি পেতে পেতে সে অনুতপ্ত হয় আর সেই পাপের জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চায়। কিন্তু সে যদি নিজের পাপ সম্পর্কে অবগতই না-থাকে, তখন পাপের শাস্তি পেলেও সে বুঝে উঠতে পারে না, সেই পাপজগত ছেড়ে বেরিয়ে আসতে কোনও চেষ্টাও করে না। আমি যখন দাপোড়ির অস্বাস্থ্যকর জীবন ত্যাগ করে খাড়কিতে আসি, তখন হলফ করে বুঝি যে আমি ঠিক রাস্তাতে আছি।" *এক দলিত কমিউনিস্টের স্মৃতিকথা (পর্ব-১১)* আর বি মোরে 🔗 পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/Memoir-of-a-Dalit-communist-part-xi/607 মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।


"মার্কসের মতে যে-কোনও মূল্যে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করার আক্রমণাত্মক পদ্ধতি ধনতন্ত্র গ্রহণ করে থাকে। এই পদ্ধতির ফলে সমাজ ও প্রকৃতির মধ্যে আন্তসম্পর্কের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এই দুই সত্তার মধ্যে যে-ফাটল তৈরি হয় মার্কসের ভাষায় সেটাই হল ‘মেটাবলিক রিফট’। প্রকৃতি থেকে যা কিছু সংগৃহীত হয় তা হয় প্রকৃতির ক্ষতি করেই। কিন্তু এই ক্ষতি আমাদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্রকৃতির অত্যধিক শোষণ প্রকৃতি ও মানব সমাজের মধ্যে এক গভীর ক্ষতের জন্ম দেয়। এই ক্ষত হল মেটাবলিক রিফট।" লিখছেন, তপন মিশ্র। 🔗 পড়ুন এই লিঙ্কে: https://marxbadipath.org/article/Karl-Marxs-concept-of-metabolic-rift-is-very-relevant-now/606 মার্কসবাদী পথের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত।
